রাতারাতি ‘গায়েব’ ছাত্র-ছাত্রীদের কোটি কোটি টাকা! শিরোনামে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

প্রাক্তন উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য ওই সংস্থার সঙ্গে যা চুক্তি হয়েছিল সেই টাকা মেটানো অবশ্যই উচিত।

এক বা দুই নয় রাতারাতি ৩ কোটি টাকা উধাও! অবাক কাণ্ড বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (Burdwan University)। পরীক্ষার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের জমা দেওয়া বিপুল টাকার ৩ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার হিসেব মিলছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং ফিন্যান্স অফিসারের (Finance Officer)দিকে। জানা যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে দেখাশোনার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এমনকি মোটা টাকার চুক্তির পরেও ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ঠিকমতো কাজ না করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেই এই কাণ্ড।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক মাস আগেই নতুন উপাচার্য যোগ দিয়েছিলেন। রেজিস্ট্রারের তরফে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকে বিপুল টাকার বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের (Burdwan University) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের একটি বৈঠক করে জানান যে আচার্য তথা রাজ্যপাল (Governor)নিজে এই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এরপরেই সেই মিটিংয়ে মোট ৩ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার বিল মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু আচার্য যে ছাড়পত্র দিয়েছেন, সেই সংক্রান্ত কোনও প্রামাণ্য নথি কই? সবটাই কি ভুয়ো? ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং অধ্যাপকদের একাংশ। প্রাক্তন উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য ওই সংস্থার সঙ্গে যা চুক্তি হয়েছিল সেই টাকা মেটানো অবশ্যই উচিত। বর্তমান উপাচার্য অবশ্য এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে গেছেন।

Previous articleমর্গে দাবিহীন ৯৬ দেহ, নিখোঁজ ৩৩! বেহাল অবস্থার মাঝেই বাহিনী বিতর্ক মণিপুরে
Next articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে