শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা! মন কি বাতে ‘গুরুদেবের’ স্মৃতিচারণায় প্রধানমন্ত্রী

সপ্তাহখানেক আগেই জানা গিয়েছে, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন। সেই সঙ্গে এই স্বীকৃতি পেতে চলেছে কর্নাটকের হোয়সড়া মন্দিরও।

দিনকয়েক আগেই ইউনেস্কোর (UNESCO) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের (World Heritage) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)। শান্তিনিকেতন যে বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। রবিবার ১০৫ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সেকারণেই দেশ তথা বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বঙ্গকন্যা শকুন্তলা সর্দারকেও (Shakuntala Sardar) প্রশংসাতে ভরিয়ে দেন মোদি (Narendra Modi)। পাশাপাশি জি-২০ থেকে শুরু করে চন্দ্রযান, একাধিক বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি বাংলার সাফল্যের কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তবে এদিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানে ‘গুরুদেবের গর্ব’ মিশে রয়েছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

সপ্তাহখানেক আগেই জানা গিয়েছে, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন। সেই সঙ্গে এই স্বীকৃতি পেতে চলেছে কর্নাটকের হোয়সড়া মন্দিরও। সেকথা উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দেন, আমি এই সুন্দর উপলব্ধির জন্য সমস্ত দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। পাশাপাশি জঙ্গলমহলের শকুন্তলা সর্দারের প্রশংসাও করতে দেখা যায় মোদিকে। তিনি বলেন, যখন উদ্দেশ্য দৃঢ় থাকে এবং কিছু শেখার আগ্রহ থাকে তখন কোনও কাজই কঠিন থাকে না। আজ তিনি বহু মহিলার অনুপ্রেরণা। সেলাই মেশিনে শালের ডিজাইন বানিয়ে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন জঙ্গলমহলের বঙ্গ তনয়া।

পাশাপাশি এদিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান থেকে দেশবাসীকে স্বচ্ছ অভিযানে সামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী রবিবার ১ অক্টোবর, প্রত্যেক দেশবাসীকে নিজের এলাকায় স্বচ্ছ অভিযানে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আর এই স্বচ্ছ অভিযানের মাধ্যমে গান্ধীজির প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব বলেও মনে করে প্রধানমন্ত্রী মোদি। এছাড়াও আগামী ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে প্রত্যেক দেশবাসীকে খাদির জিনিস কিনতেও অনুরোধ করেছেন নমো। সেই সঙ্গে ভারতে তৈরি জিনিস বেশি করতে কিনতে বলেছেন তিনি। এর জেরে দেশের লোকের রোগজার অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদির কথায় এদিন উঠে আসে চন্দ্রযান ৩ ও জি-২০ সম্মেলন আয়োজনের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর জি-২০’র দুরন্ত আয়োজন প্রত্যেক ভারতীয়র খুশিকে দ্বিগুণ করে দিয়েছে। পাশাপাশি ইউটিউবে ৮০ লক্ষ মানুষ চন্দ্রযান ৩-এর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ভিডিও দেখেছে বলেও জানান মোদি। এরপরই ২৩ অগাস্ট দিনটিকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও জি২০ প্রসঙ্গে আফ্রিকান ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়া এবং ভারত-মধ্য প্রাচ্য- ইউরোপ করিডরের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।

 

 

 

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleএশিয়ান গেমসে প্রথম দিনে পদক মেহুলিদের, শুভেচ্ছা মুখ‍্যমন্ত্রীর