উত্তরাখণ্ডের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পর সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমে ৮ কেন্দ্রীয় ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের কাছে দাবি জানালো অবিলম্বে “নো নিউ কন্সট্রাকশন জোন” ঘোষণা করা হোক জশিমঠকে। এছাড়াও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের ১৩০ পাতার ‘পোস্ট ডিজাস্টার নিড অ্যাসেসমেন্ট’ (পিডিএনএ) রিপোর্টেই জোশিমঠ এর ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উঠে এসেছে । কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের দ্বারা জোশীমঠের আটটি রিপোর্ট যা রাজ্য সরকার গত কয়েক মাস ধরে প্রকাশ করেনি। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে তা জনসমক্ষে আনতে বাধ্য হয়েছে। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ১০০ ফুটের বেশি গভীর পর্যন্ত ফাটল প্রসারিত হয়েছে। জোশিমঠ তার বহন ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি ভার বহন করছে এবং ভবিষ্যতে “কোনও নতুন নির্মাণের” জন্য অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। উল্লেখ্য উন্নয়নের নামে ক্রমাগত নির্মাণ কার্য চালানো হচ্ছিল জোশিমঠ এবং সংলগ্ন এলাকায়, যার বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবেশবিদরা ,এবার তাদের সেই অভিযোগেই সিলমোহর লাগালো কেন্দ্রীয় গবেষণার বিভিন্ন সংস্থা ।

৮ টি বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান যারা জোশীমঠে ভূমিধস এর বিষয়ে জরিপ করেছিল তার মধ্যে রয়েছে ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট, আইআইটি রুরকি, এনজিআরআই, এনআইএইচ, জিএসআই, সিজিডব্লিউবি, আইআইআরএস, সিবিআরআই। ভূমিধসের কারণ খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার জরিপ চালানো হয়েছিল । যার পরে একটি বিশদ রিপোর্ট তৈরি করা হয় এবং সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়। রিপোর্টে ভূমিধস এবং ভবিষ্যত শহর পরিকল্পনার অনেক বিবরণ দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি জোশীমঠে ভবিষ্যৎ বড় নির্মাণে লাগাম দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।


এছাড়াও রিপোর্ট অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা ৭ রিখটার স্কেলের বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই এলাকাটি এমসিটি ম্যান সেন্ট্রাল থ্রাস্টের মধ্যে পড়ে, তাই সব সময়ই ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকে। নতুন নির্মাণ কার্যের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও রিপোর্টে অলকানন্দা নদীর উপর এনটিপিসির ৫২০ মেগাওয়াট বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে ‘ক্লিন চিট’ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- বুধেও হবে না রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন, স্থগিতাদেশ বিচারপতির

