প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট নিয়ে ২০২২ সালে শীর্ষ আদালতের(Supreme Court) রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশনের শুনানিতে ৩ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করল আদালত। বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কৌল, সঞ্জীব খান্না এবং বেলা এম ত্রিবেদীকে নিয়ে গঠিত এই বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে ১৮ অক্টোবর থেকে। মঙ্গলবার ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে কবিতাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জারি করা সমন সংক্রান্ত মামলা স্থগিত করার সময় বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ একথা জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পিএমএলএ-এর ধারা ৪৫(১) বাতিল করেছিল সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি রোহিন্টন নরিম্যান এবং সঞ্জয় কিষাণ কাউলের বেঞ্চ। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল অর্থ পাচারের অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার জন্য দুটি অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করছে এই ধারা। শীর্ষ আদালতের তরফে ব্যাখ্যা দিয়ে জানানো হয়, এই দুই শর্ত স্বেচ্ছাচারী এবং বৈষম্যমূলক। তবে ২০১৭ সালের এই নির্দেশ ২০২২ সালে খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এএম খানউইলকর, দীনেশ মহেশ্বরী এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ। যেখানে, পিএমএলএ আইনের ধারা ৩ (মানি লন্ডারিংয়ের সংজ্ঞা), ৫ (সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত), ৮(৪) (বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির দখল নেওয়া), ১৭ (তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করা), ১৮ (ব্যক্তিদের অনুসন্ধান), ১৯ (গ্রেফতারের ক্ষমতা), ২৪ (অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণের দায় অভিযুক্তের), ৪৪ (বিশেষ আদালত দ্বারা বিচারযোগ্য অপরাধ), ৪৫ (অপরাধগুলি বিচারযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য এবং জামিন মঞ্জুর করার জন্য দুটি শর্ত) এবং ৫০ (ইডি কর্মকর্তাদের কাছে বিবৃতি দেওয়া) সহ আইনের আরও কয়েকটি ধারার বৈধতা বহাল রাখে। তিন বিচারপতির ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করে তিন বিচারপতির নতুন বেঞ্চ গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন- হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ ও বদলিতে বিলম্ব কেন্দ্রের, উদ্বেগ প্রকাশ শীর্ষ আদালতের
