মাধ্যমিকে না থাকলেও উচ্চমাধ্যমিকে বৃত্তিমূলক বিষয় পড়তে পারবে পড়ুয়ারা!

অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া যেন একটি বৃত্তিমূলক বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হয়, তা সুনিশ্চিত করা শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতম।

রাজ্য যে জাতীয় শিক্ষানীতি পুরোপুরি মানবে না, সে কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে৷ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল বদল আনতে সম্প্রতি নিজস্ব শিক্ষানীতি নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে৷ যেখানে বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর। অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া যেন একটি বৃত্তিমূলক বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হয়, তা সুনিশ্চিত করা শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতেই এবার পদক্ষেপ করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

বুধবার এ প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংসদের তরফে বলা হয়েছে, এবার থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা যে কোনও একটি বৃত্তিমূলক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে  পারবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে ওই পড়ুয়া যদি মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা না করে, তাতেও অসুবিধা নেই৷ উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিষয়টি নির্বাচন করতে পারে। ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নয়া ব্যবস্থা চালু করা হবে বলেও জানিয়েছে সংসদ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে হেল্থ কেয়ার, অটোমোবাইল, সিকিউরিটি, ইলেকট্রনিক্স, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন-সহ মোট ১২টি বৃত্তিমূলক বিষয় রয়েছে। মাধ্যমিকে এই বিষয়গুলি না থাকলেও, এর মধ্যে যে কোনও একটিকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে বেছে নিতে পারবেন একাদশের ছাত্রছাত্রীরা।

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “রাজ্য শিক্ষানীতিকে মান্যতা দিয়েই আমরা এই নিয়ম চালু করলাম। যদিও, সংসদ বহুদিন ধরেই বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এই বিষয়গুলি আগেও ছিল। তবে এবার থেকে মাধ্যমিকে না থাকলেও অপশনাল ইলেকটিভ হিসাবে যে কেউ তা নির্বাচন করতে পারবে।”

 

 

 

 

Previous articleআধার-তথ্য আড়াল করুক অর্থ দফতর: চিঠি দিয়ে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
Next articleভীত মোদি সরকার! দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচির দিনই ফের অভিষেককে ED-র তলব