
১৮৬১
ডাঃ নীলরতন সরকার (১৮৬১-১৯৪৩) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত চিকিৎসক। অক্সফোর্ড ও কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে যথাক্রমে ডিসিএল ও এলএলডি উপাধি প্রদান করে। ১৯১৯-’২১ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুল কলেজে রূপান্তরিত হয়ে তাঁরই নামে নামাঙ্কিত হয়। শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকার ছিলেন তাঁরই ভাই।


১৯০৬
শচীন দেববর্মণ (১৯০৬-১৯৭৫) এদিন ত্রিপুরার আগরতলায় জন্মগ্রহণ করেন। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, সুরকার এবং চলচ্চিত্র জগতের স্বনামখ্যাত সংগীত পরিচালক। অনুগ্রাহী মহলের প্রিয় নাম ‘শচীনকর্তা’। পূর্ববঙ্গ-সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকসংগীত সংগ্রহ করে সেগুলি নিজস্ব ভঙ্গিতে গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বাংলা রাগপ্রধান গানকেও তিনি নিজস্ব রসবোধে সহজ সুরসংযোগে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।


১৮৪৭
অ্যানি বেসান্ত (১৮৪৭-১৯৩৩) এদিন লন্ডন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। একজন বিদেশিনি হয়েও তিনি ভারতকে স্বদেশ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিখ্যাত হোমরুল আন্দোলনের প্রধান পরিচালিকা তিনিই। ১৯১৭-তে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে তিনি সভানেত্রী ছিলেন।


১৯০৬
নিকুঞ্জ সেন (১৯০৬-১৯৮৬) এদিন ঢাকার কামারখাড়ায় জন্ম নেন। ছাত্রাবস্থায় ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। বিনয়-বাদল-দীনেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। রাইটার্স অভিযানের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বহুবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। কম করে জীবনের ১৩ বছর কারান্তরালেই কাটিয়েছেন। রচিত গ্রন্থ ‘জেলখানা কারাগার’, ‘বক্সার পর দেউলী’, ‘নেতাজি ও মার্কসবাদ’ ইত্যাদি।



১৯৩৫
কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৫–২০০৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। বাঙালি কণ্ঠশিল্পী তথা বাংলা কাব্যগীতির জগতে এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। অতুলপ্রসাদ এবং দ্বিজেন্দ্রলালের গানে বিশেষ খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন-করা এই শিল্পী রজনীকান্ত সেন, দিলীপকুমার রায়, হিমাংশু দত্তের গান তথা রবীন্দ্রসংগীত ও বাংলা আধুনিক গানেও সমান পারদর্শী ছিলেন। জীবনের শেষ আট বছর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বাক্শক্তিরহিত অবস্থায় অতিবাহিত করেন।


১৯৯৫
আদিত্য বিক্রম বিড়লা (১৯৪৩-১৯৯৫) এদিন প্রয়াত হন। ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপতি পরিবারের সন্তান। বাবা বি কে বিড়লা। পড়াশোনা কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে। ভারতের প্রথম গ্লোবাল ব্যবসায়ী। আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫১ বছর বয়সে মারা যান।


১৯৯১
এদিন থেকে প্রতি বছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রবীণদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি, বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘ ১৯৯০-এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ বছর দিনটির জন্য বিশেষ স্লোগান হল : সব বয়সিদের জন্য ডিজিটাল সাম্য। উদ্দেশ্য, ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবীণরা যাতে সাবলীলভাবে অংশ নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।
