প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ।আগামী ১৭ নভেম্বর দায়িত্ব ছাড়বেন তিনি। তাঁর আসনে বসবেন ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত মালদ্বীপের প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপসের (পিপিএম) নেতা মহম্মদ মুইজ্জু। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েই ভারতকে নিশানা করলেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমারা ফেরত পাঠাব।’’নাম না করলেও স্পষ্ট ভাবেই ভারতকে নিশানা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ প্রতিহিং.সাপরায়ণ ইডির নিশানায় ফের অভিষেক! ৯ তারিখ সিজিও-তে তলব
পাঁচ বছর ক্ষমতাসীন থাকার পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের গদি ছাড়তে চলেছেন ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ। বিরোধী দলগুলি সম্মলিত ভাবে সমর্থন ঘোষিত ‘চিনপন্থী’ ওই নেতাকে সমর্থন জানিয়েছিল।প্রসঙ্গত, মালাবার উপকূলের অদূরের দ্বীপরাষ্ট্রটি ভারতের কাছে কূটনৈতিক এবং রণকৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এ বার প্রভাব বাড়তে পারে চিনের। যা নিশ্চিত ভাবেই নয়াদিল্লির কাছে অস্বস্তির কারণ হবে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত মলদ্বীপের শাসনক্ষমতায় ছিলেন চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। তাঁর সময় চিনা ঋণ নিয়ে দেশে একাধিক পরিকাঠামোগত নির্মাণ করেন তিনি। ইয়ামিনের ভাবশিষ্য বলে পরিচিত মুইজ্জু এই সমস্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মালদ্বীপে বিদেশি সেনা বলতে আছে শুধু ভারতীয় সেনা বাহিনী। সে দেশে গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে প্রায় চার দশক আগে ভারতীয় সেনা গিয়েছিল। তারপর থেকে দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ভারতীয় সেনা মালদ্বীপের সেনা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ভারত মহাসাগরের ওই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। প্রশিক্ষণ বাবদ ভারতীয় সেনা বিপুল অর্থ উপার্জন করে। মুইজ্জুর ঘোষণা দুই দেশের দীর্ঘ সম্পর্কে কালো ছায়া ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
