কীভাবে টাকা ছিনিয়ে আনতে হয়  আন্দোলনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন অভিষেক: চন্দ্রিমা

আমাদের সঙ্গে ৩ তারিখ কৃষি ভবনে কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েও দেখা করেননি।

তৃণমূলের রাজভবন অভিযানে কর্মী-সমর্থকদের ঢল নেমেছে। শাসক দলের তরফে দাবি করা হয়েছে ১ লক্ষ মানুষ অভিযানে অংশ নেবেন। এদিনের জমায়েতে সকাল থেকেই হাজির হন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রবীন্দ্রসদন সংলগ্ন মোহরকুঞ্জের সামনে প্রায় হাজার দশেক তৃণমূল কর্মী সমর্থক অংশ নেন।

অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা দিল্লি গিয়েছিলাম বাংলার বঞ্চিত গরিব মানুষের হকের পাওনা আদায়ে। ২ তারিখ রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীকে সম্মান জানিয়ে এবং ৩ তারিখ যন্তর মন্তরে ধর্ণা দিয়েছি। বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পাওনা। ১০০ দিনের কাজ করিয়ে পাওনা দেয়নি ২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। এই টাকা কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়, মানুষের টাকা। কীভাবে ছিনিয়ে আনতে হয় তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছেন। মহাত্মা গান্ধীর নামাঙ্কিত টাকা আটকে রেখেছে। ২ তারিখ আমরা শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন করছিলাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। কিন্তু সেখান থেকে হাজার হাজার পুলিশ নামিয়ে আমাদের তুলে দেওয়া হয়।

আমাদের সঙ্গে ৩ তারিখ কৃষি ভবনে কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েও দেখা করেননি। এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠক করার পর পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছেন।এখন রাজ্যপাল পালিয়ে গেছেন। আসলে রাজ্যপাল ভয় পেয়েছেন। আইন অনুযায়ী ১০০দিনের টাকা দিচ্ছে না। কাজ করিয়ে নিয়েও দিচ্ছে না। তাই আমাদের আজ রাজভবন অভিযান।

Previous articleদ্রুত তদন্ত না হলে বৃহত্তর আন্দোল.ন! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পথে সরব বামেরা
Next articleঘুষ নিয়ে আইনসভায় বক্তৃতা ও ভোট! সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে রায় ‘সংরক্ষিত’ শীর্ষ আদালতে