Thursday, August 21, 2025

মীরজাফরের ইন্ধনে টাকা আটকাচ্ছে কেন্দ্র! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গ.র্জে উঠলেন কল্যাণ-সামিরুল

Date:

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। আর সেই মতোই বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সদন থেকে বাংলার বঞ্চিতদের নিয়েই পথে নামেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিনের মিছিলে কার্যত জনসমুদ্র লক্ষ্য করা যায়। তবে এদিন অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় নেতারা। অভিষেক মিছিল নিয়ে রাজভবনে (Rajbhawan) পৌছলেও সেখানে ছিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছেন তিনি। পরে সেখান থেকে সোজা পৌঁছে যান রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপাল যে ভয় পেয়েই শহর ছেড়ে পালিয়েছেন এমন অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন রাজভবনের সামনে একে একে ভাষণ দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) অভিযোগ, গত ২ অক্টোবর দিল্লির বুকে যে আন্দোলন সংঘঠিত হয়েছিল আজ তা রাজভবনের সামনে। এই আন্দোলনের কারিগর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি দফতরের অধিকারিক জানিয়েছিলেন, বাংলার বিরোধী দলনেতা ও বাংলার বিজেপি সাংসদরা টাকা দিতে বারণ করেছে। তবে বাংলার কিছু ভাঁওতাবাজ, দলবদলুর কথায় একজন প্রধানমন্ত্রী বাংলার গরিব মানুষের অধিকারের টাকা আটকে রেখেছে। যাদের ভরসায় একুশ সালে ২০০ আসন নিয়ে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের কথায় বাংলাকে বঞ্চনা করেছেন মোদি। দিল্লির অলিতে গলিতে মানুষ বলছে, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো এমন আন্দোলন তাঁরা আগে দেখেননি। বিজেপি টাকা আটকে অন্যায় করছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আগে ছিল না, এটা নরেন্দ্র মোদি আমদানি করেছে। যে আওয়াজ তুলবে তার বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করতে চাইছে। ভারতবর্ষের বুকে বিজেপি ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক দল রাখতে চায় না নরেন্দ্র মোদি। গোটা বিশ্বে এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনৈতিক নেতা আর নেই। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, এ জন্মে যেন নরেন্দ্র মোদি তার পাপের ফল পায়।

সাংসদ সামিরুল ইসলামের (Samirul Islam) অভিযোগ, বাংলার যে ২০ লক্ষ বঞ্চিত মানুষ টাকা পাননি তাঁরা তৃণমূল করেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকল গরিবের জন্য এই লড়াই করছে। মোদি সরকার গরিব, তপশিলি, আদিবাসী মানুষের বিরোধী। আর শুভেন্দু অধিকারী বাংলা বিরোধী, হিংসুটে। তাঁর ইন্ধনেই কেন্দ্র টাকা আটকে দিচ্ছে। উনি একজন মিরজাফর। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বার্থে লড়ছে। এই টাকা বিজেপির টাকা নয়, বাংলার গরিব মানুষের হকের টাকা। আমাদের দিল্লির আন্দোলন দেখে মোদি সরকার ভয় পেয়েছে। তাই পুলিশ দিয়ে আমাদের মহিলা সাংসদ থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীদের নিগ্রহ করেছে। কিন্তু মোদি ভুলে গিয়েছেন বাংলার মানুষের শরীরে স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্ত আছে। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না।

 

 

 

Related articles

‘নোরা ফাতেহি’ হতে হবে! স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

যোগীরাজ্যে স্কুলশিক্ষকের ফ্যান্টাসির চূড়ান্ত নমুনা! স্ত্রীকে হতে হবে রোগা ছিপছিপে চেহারার। আর সেই চেহারা বানাতে গিয়েই স্বামীর নির্মম...

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...
Exit mobile version