স.র্বহারা মানুষের নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে এই আন্দোলন চলবে: ফিরহাদ

বাংলার মানুষের দাবি আদায়ে দুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল। তারই রেশ টেনে বৃহস্পতিবার রাজভবনে লক্ষাধিক ভুক্তভোগীর চিঠি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে হাজির হন তাঁরা। যদিও রাজ্যপাল এদিন রাজভবনে ছিলেন না।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন,বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে রাজঘাটে গান্ধীজিকে সম্মান জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা কয়েকজন শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে গোটা রাজঘাট ঘিরে নিয়েছে অমিত শাহের পুলিশ। সাংবাদিকদের পর্যন্ত নিগ্রহ করা হয়েছে। তাঁদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরের দিন যন্তর মন্তরে বাংলার গরিব মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গিয়েছিল নিজেদের হকের টাকার দাবি নিয়ে। তাঁদেরও আটকে দিল দিল্লি পুলিশ। যে পরিমাণ পুলিশ দিয়ে তৃণমূলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আটকালো, সেই পুলিশ মণিপুরে পাঠালে এতদিনে রাজ্যটিতে শান্তি ফিরে আসতো।

এরপর অভিষেকের নেতৃত্বে যখন আমরা কৃষিভবনে গেলাম, তখন পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেলেন কেন্দ্রের মন্ত্রী। তারপর আমাদের মন্ত্রী-সাংসদদের পুলিশ তুলে নিয়ে গেল। আমরা ভয় পাইনি। আমরা লড়াই করতে জানি। এই লড়াই শেষ হবে সেদিন, যেদিন সর্বহারা মানুষগুলো নিজেদের অধিকার ফিরে পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই লড়াই চলবে।

সিপিএম টিভি চ্যানেলে বসে সেটিংয়ের কথা বলে। কিন্তু সিপিএম-বিজেপি এক ভাষায় কথা বলে। আসল সেটিং তো সিপিএম করে। সেটিং এ রাজ্যের কংগ্রেস করে। তাই ওরা বাংলার বুকে শূন্য হয়ে গিয়েছে। আমাদের ভোট শতাংশ কমেনি। কিন্তু সিপিএম-কংগ্রেসের ভোট সব বিজেপিতে চলে গিয়েছে।