সুদ সমেত ফেরাতেই হবে বকেয়া! আইনের ধারা উল্লেখ করে হু.ঙ্কার অভিষেকের

দিল্লিতেই তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেছিলেন কেন্দ্রের যে ১০০ দিনের বকেয়া আছে, তা সুদ সমেত ফেরতের ব্যবস্থা করব। রবিবার, ধর্নামঞ্চ থেকে রুরাল ল-এর বই উদ্ধৃত করে অভিষেক জানান, সেখানে উল্লেখ আছে কাজ করানোর ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিতে হবে। না দিলে ১৬দিন থেকে ০.০৫ শতাংশ হারে দিন প্রতি সুদ দিতে হবে। এরপরেই রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে সরব অভিষেক জানান, এটা বাংলার টাকা আপনাকে ছাড়তে হবে।

এদিন ধর্নামঞ্চেই রুরাল অ্যাক্টের বই দেখিয়ে অভিষেক জানান, ২৬ নম্বর পাতার ২৯ নম্বর ধারায় লেখা আছে, কাজ করার ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিতে হবে। না দিলে ১৬দিন থেকে ০.০৫ শতাংশ হারে দিন প্রতি সুদ পাবে প্রাপক। নিজে সেই বই থেকে পড়ে শোনান তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পরে বাংলা তর্জমা করে দেন। এর পরই অভিষেক বলেন, এটা আইনসভায় পাশ হওয়া আইন। দুবছর হয়ে গিয়েছে টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কত টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে কেন্দ্রকে। অভিষেকের হুঙ্কার, এটা বাংলার টাকা, আপনাকে ছাড়তেই হবে।

 

অভিষেকের কথায়, “কাল পর্যন্ত আমি আপনাদের বলেছিলাম মজুরি বাবদ কেন্দ্রের সরকার ৩৮০০ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। অনেকদিন এনিয়ে কথা বলছি। আজ এনিয়ে আইনটা দেখালাম। দিল্লিতে গিয়ে আমি বলে ফেলেছিলাম, কেন্দ্রের উচিত সুদ-সহ টাকা ফেরত দেওয়া। একশো দিনের কাজের যে আইন রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, মজুরি যদি কাজের মাস্টার রোল বন্ধের ১৫ দিনের মধ্যে না মেটানো হয় তাহলে একশো দিনের কাজের মজুরকে ওই টাকা মেটানোর দেরির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এক্ষেত্র রোজ সুদ দিতে হবে ০.০৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্য যদি কেন্দ্র টাকা না ছাড়ে তাহলে ১৬ দিন থেকে কেন্দ্রকে ০.০৫ শতাংশ সুদ দিতে হবে। ২ বছর হয়ে গেল টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। যার ১০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে তাকে ২ বছরের সুদ হিসেবে আরও ৩৬৫০ টাকা কেন্দ্রকে দিতে হবে। যারা ১২ হাজার টাকা পাওনা তার পাওনা ১৬৩৮০ টাকা। এটা আইন বলছে। এবার তো চিঠিতে রাজ্যপালকে এও লিখতে হবে।”

সিবিআই-ইডির তদন্তের নামে তৃণমূল নেতাদের হেনস্থার বিষয়ে অভিষেক বলেন, “বিজেপি নেতারা আজ এর বাড়িতে সিবিআই পাঠাচ্ছে তো ওর বাড়িতে ইডি পাঠাচ্ছে। যাদের বাড়িতে সকালে সিবিআই যাচ্ছে সে সন্ধেয় ধর্না মঞ্চে চলে আসছে। এর নাম তৃণমূল কংগ্রেস। রথীন দা বললেন, ওনার বাড়িতে গিয়ে তদন্তকারীরা ওনার খাটে ঘুমিয়েছে। মদন মিত্রর কী অভিজ্ঞতা সেটা তিনি বললেন। আগামিকাল ফিরহাদ হাকিম আসছেন, বলবেন। আমাদের গলা কেটে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বের হবে।”

মানুষের কথা গানের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ‘জয়ী’ ব্যান্ডকে ধন্যবাদ জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

 

Previous articleশীতের আগেই নয়া লুক! এবার নীল-সাদা রঙে সাজছে কলকাতার বাস-ট্রাম, থাকবে নকশাও
Next articleজয় দিয়ে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু ভারতের, অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ৬ উইকেটে