পুজোর (Durga Pujo) আগে হাতে কোনও ইস্যু নেই। তবুও রাজনীতিগতভাবে পেরে না উঠে জোর করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এবার সোজা থানায় ঢুকে পুলিশকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। শনিবার মহালয়া (Mahalaya), আর সেই বিশেষ দিনেই অশান্তি পাকানোর অছিলায় সোজা খেজুরি থানায় (Khejuri Police Station) পৌঁছে গেলেন গদ্দার। আর থানায় ঢুকে ওসিকে দেখতে না পেয়ে রীতিমতো অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বিরোধী দলনেতা। তবে থানায় ওসি না থাকায় বাকি পুলিশ আধিকারিকদের কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠেন দলবদলু। এরপরই থানার অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের শুভেন্দু হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, সব লেখা থাকবে। বিজেপির সরকার আসছে, তখন আমাদের অধীনেই কাজ করতে হবে। ১৫-২০ বছর আমাদের অধীনেই কাজ করতে হবে। আর শুভেন্দুর এমন দাপাদাপিই প্রমাণ করছে বঙ্গ বিজেপির (BJP) রাজনৈতিক দেউলিয়ার চরম ছবি।

রাজ্যের বিরোধিতায় প্রতিদিনই নিত্য নতুন ফন্দি বের করছেন বিজেপির এই দলবদলু নেতা। কলকাতায় লাগাতার অশান্তির চেষ্টা করেও লাভের লাভ হয়নি। আর সেকারণেই মহালয়ার মতো পুণ্যতিথিকেও হাতিয়ার করতে একটুকুও পিছপা হননি তিনি। সোজা পৌঁছে যান পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানায়। আর সেখানে গিয়ে বিরোধী দলনেতার ‘দাদাগিরি’ দেখে চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। পরে পুলিশ আধিকারিকদের শাসানি দিয়ে থানার বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু জানান, এদের (খেজুরি থানার পুলিশের) অবস্থা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার মতো হবে। আমরা লড়তে জানি, একটু অপেক্ষা করুন।
তবে শুভেন্দু যতই দাপাদাপি করুন না কেন বাংলার জনগণ যে তাঁর দলকে একেবারেই উৎখাত করেছে সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেকারণেই পুজোর আগে ফের অশান্তির চেষ্টা গেরুয়া শিবিরের এই দলবদলু নেতার।
