Friday, November 14, 2025

ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়ন তুলে মোদির লোকসভা কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

Date:

“৯ বছর ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসেবে এই কেন্দ্রে যে উন্নয়নের কাজ হয়েছে দেশের অন্য কোনও কেন্দ্রে সেই কাজ হয়নি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রে যদি এর অর্ধেক কাজ হয়ে থাকে, আপনাদের সামনে মুখ দেখাতে আসব না।” ঠিক এই ভাষাতেই বুধবার চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার বজবজের বিড়লাপুর ফুটবল ময়দানে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কড়া ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে উন্নয়নের নিরিখে চ্যালেঞ্জ করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। অভিষেক বলেন, “আপনারা এখানে শুধুই বস্ত্র বিতরণ উপলক্ষ্যে আসেননি। এসেছেন মা মাটি মানুষের প্রতি সমর্থন জানাতে। মানুষ যার পাশে থাকে তাঁকে কোনও অশুভ শক্তি স্পর্শ করতে পারে না। অন্য রাজনৈতিক দলের কাছে সব আছে। টাকা, কেন্দ্রীয় এজেন্সি, সংবাদমাধ্যম, নির্বাচন কমিশন, সবকিছু। তৃণমূলের কাছে কিছু নেই। শুধু মানুষ আছে। আর মানুষ যার সঙ্গে থাকে কোনও শক্তি তাঁকে ছুঁতে পারে না। বাংলার মানুষ কখন বহিরাগতর কাছে আত্মসমর্পণ করেনি। আগামী দিনেও করবে না।” একইসঙ্গে অভিষেক বলেন, “প্রতি বছর আমরা উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরি আপনাদের কাছে। আমরা তুলে ধরেছি দেশের মধ্যে কীভাবে ডায়মন্ড হারবার এগিয়ে গিয়েছে উন্নয়নের নিরিখে। ভারতে মোট ৫৪৩ টা লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রও রয়েছে। যদি একজন তথ্য পরিসংখ্যানের নিরিখে দেখাতে পারে ডায়মন্ড হারবারে যে কাজ আমি ৯ বছরে করেছি তার অর্ধেক কাজ তাঁর কেন্দ্রে হয়েছে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করছি পরের বছর আপনাদের সামনে মুখ দেখাতে আসব না।”

এর পাশাপাশি বিরোধীদের নিশানা করে অভিষেক আরও বলেন, “আমরা ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করি না। যাদের কাছে উন্নয়ন নেই, কর্মসূচি নেই, মানুষের কাজ করার মানসিকতা নেই, তারা ধর্মকে ঝাতিয়ার করে রাজনীতি করে। আমরা যখন নির্বাচিত হই আমাদের তখন একটাই ধর্ম, মানব ধর্ম। ৪০ বছর ধরে এখানে সিপিএম ছিল কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি। ওদের নীতি ছিল ইনক্লাব জিন্দাবাদ, আমরা খাব তোমরা বাদ।” পাশাপাশি বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, আড়াই বছর আগে যারা আপনাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছিল আজ তাদের টিকি খুজে পাওয়া যায় না। ওরা বলেছিল বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না তাদের আজ বাংলায় এসে পুজো উদ্বোধন করে আবার বাংলায় ফিরে যাচ্ছে।”

এছাড়াও নিজের কেন্দ্রে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে অভিষেক বলেন, “চড়িয়াল ব্রিজ তৈরি ডায়মন্ড হারবারে আমার অন্যতম লক্ষ্য ছিল। ৫২ কোটি টাকা খরচ করে সেই কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে। এর জন্য যাদের দোকান ছিল তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ৫৫৫ কোটি টাকা খরচে ডঙ্গারিয়া-২ প্রোজেক্টের উদ্বোধন করেছি। বজবজ ১, বজবজ ২তে কাজ চলছে। প্রতিটা বাড়িতে পৌঁছে যাবে নলবাহিত পানীয় জল। পুজালি পুরসভায় ৫২ কোটি টকা খরচে সুইস গেটের কাজ চলছে। বজবজ বিধানসভায় ৬০০ কোটি টাকার রাস্তার কাজ করেছি, ডায়মন্ড হারবার লোকসভার ক্ষেত্রে ৩০০০ কোটি টাকার রাস্তার কাজ হয়েছে ৯ বছরে।” এর পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও এদিন বার্তা দেন অভিষেক। বলেন, “পুজোর পর বড় লড়াইয়ের ডাক দিয়েছি। বাংলার মানুষ এদের ভোট দেয়নি বলেই ওরা প্রতিহিংসা পরায়ণ। তবে বাংলার মানুষ গুজরাটের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। মাথা নত করবে না। হয় ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায় করে আনব, না হলে ৬ মাসের মধ্যে টাকার ব্যবস্থা করে আপনার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেব। আপনারা শুধু আমাদের সমর্থন দেবেন। বাকিটা আমরা বুঝে নেব।”

Related articles

শিশু দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা মমতা – অভিষেকের, নেহরুর জন্মদিন উপলক্ষেও শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর 

শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসে (Childrens Day) শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

তেজস্বীর নয়া ইনিংস নাকি নীতীশের কামব্যাক, বিহারের রায় আজ

২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা (Bihar Assembly Election Result) কার দখলে থাকবে তা জানতে সকাল ৮টা থেকে শুরু...

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...
Exit mobile version