শেষমেশ বাংলাদেশে (Bangladesh) আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় হামুন (Cyclone Hamoon)। বুধবার মধ্য রাতে চট্টগ্রামের কাছে ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড়ের। আর স্থলভাগে প্রবেশ করতেই শক্তি হারাতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়। ঝোড়ো হাওয়া ও ঝড়বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় গাছপালা ও বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। দেওয়াল ও গাছ চাপা পড়ে কক্সবাজারে ইতিমধ্যে কমপক্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর । তবে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব পড়বে না রাজ্যে। একাদশীতে রাজ্যজুড়ে পরিষ্কারই থাকবে আকাশ।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বুধবার বাংলাদেশে দিনভর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও, এর প্রভাব বাংলায় পড়বে না। বুধবার দিনভর আকাশ রোদ ঝলমলে থাকবে। তবে রাতের দিকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে ল্যান্ডফল করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। সন্ধ্যার দিকে যখন ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে প্রবেশ করছিল, সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। রাত ৮টা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার।
এদিকে উপকূলে আছড়ে পড়ার পরই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি হারাতে শুরু করে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ দিনভর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির প্রভাবও কিছুটা কমবে।