উৎসবের মরশুমেই রাজধানীর বায়ু দূষণে উ.দ্বেগে পরিবেশবিদরা

0
1

উৎসবের মরশুম এখনও কাটেনি। তার আগেই চরম বায়ু দূষণের (Air Pollution) কবলে রাজধানী দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকা। মঙ্গলবার যেখানে বায়ুর গুণগতমান (এ কিউ আই লেভেল) ২২০(খারাপ) আশপাশে ছিল, রাবণ দহন, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বুধবার থেকে বাতাসের গুণগত মান ‘খুব খারাপ’ হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

মঙ্গলবার পাঞ্জাব এই মরসুমের সর্বোচ্চ এক দিনের খড় পোড়ানোর ঘটনা (৩৬০) রেকর্ড করেছে। যেখানে এখনও পর্যন্ত পাঞ্জাবের সংখ্যাটা ছিল ২০০-র নীচে। ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দ্বারা সংকলিত স্যাটেলাইট তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশে যথাক্রমে ৭০ এবং ৩৮টি ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এই মুহূর্তে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী যা খারাপ থেকে অতি খারাপ স্তরে রয়েছে। কারণ বায়ুর গুণগত মানের সূচক ৫১ থেকে ১০০ র মধ্যে থাকলে তা নিশ্বাস নেওয়ার উপযোগী হয়।

প্রত্যেক বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তিন মাস দিল্লির আবহাওয়ার মান বিপদজনক স্তরে চলে যায়।এই সময়টাতেই উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ,হরিয়ানা, রাজস্থান সহ আশপাশের এলাকায় হেক্টর এর পর হেক্টর জমিতে ফসল কাটার পর অবশিষ্টাংশ জ্বালানো হয়। যার ধোঁয়া এসে প্রবেশ করে রাজধানীর মধ্যে। ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য ফসল জ্বালানোর ধোঁয়া বাইরে বেরোতে পারে না। ফলে ধোঁয়া আর কুয়াশা মিলে যে দমবন্ধকর ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় তাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় রাজধানীবাসীর।

আরও পড়ুন: কানপুর: হাসপাতাল থেকে রক্ত নিয়ে এ.ইডস-হে.পাটাইটিসে আ.ক্রান্ত ১৪ শিশু

এই নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে চলেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ফসলের অবশিষ্ট অংশ না জ্বালিয়ে অন্য কোনও উপায়ে যদি তা ব্যবহার করা যায় সে নিয়ে বিস্তর আলোচনাও হয়েছে কিন্তু আজও ফলাফল আশাতীত জায়গায় পৌঁছায়নি বলেই অভিমত পরিবেশবিদদের। হু-সহ বিভিন্ন সংস্থা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এই চরম বায়ু দূষণের (Air Pollution) ফলে দিল্লিবাসীর গড় আয়ু ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) এর বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া জানিয়েছেন, “যেহেতু বর্তমানে দূষণের মাত্রা বেশি এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ঘটনা ক্রমশই বাড়ছে , সেখানে দুই থেকে তিন ঘণ্টার জন্য কুশপুত্তলিকা পোড়ানোও বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তবে, যেহেতু মঙ্গলবার সরকারি ছুটির দিন ছিল, যানবাহনের দূষণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।”

এদিকে রাজধানী-সহ আশপাশের এলাকার বাতাসের গুণগত মানের ক্রমশ খারাপ অবস্থা দেখে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে ৪০টি অতিরিক্ত ট্রিপ চালানোর কথা ঘোষণা করেছে। কেজরিওয়াল সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে সিগনালে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করার প্রকল্প ফের চালু হতে চলেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণে।