রাজ্যের পাঠ্যবইতে ‘ইন্ডিয়া/ভারত’ থাকবে: NCERT সুপারিশ উড়িয়ে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

পাঠ্যবইতে ‘ইন্ডিয়া’-র বদলে ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহারের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন NCERT। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তুলোধনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এখানকার পাঠ্যবইতে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে নয়, পাশে ‘ভারত’ লেখা হবে।

বিরোধীরা I.N.D.I.A জোট করার পর থেকেই নাম নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। প্রথমে ইংরেজিতে প্রাইম মিনিস্টার অফ ইন্ডিয়ার বদলে লেখা হল প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত। এবার দেশের সব শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ইন্ডিয়ার বদলে ভারত লেখার সুপারিশ করল NCERT। এই বিষয় নিয়েই এদিন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমরা জোটে ইন্ডিয়া নাম দিয়েছি বলেই কি সব বদলে দিচ্ছে? আমরা যদি ভারত করে দিই তাহলে কি করবে?” তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, “আমাদের নামটা তো আলাদা করে দেওয়া আছে। একটা নামে দশটা জিনিস থাকতেই পারে। অশোকস্তম্ভ কেন্দ্র-রাজ্য সবাই ব্যবহার করে। অসুবিধার কী আছে!” এরপরেই প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “হঠাৎ করে পুজোর মধ্যে NCERT বলে দিচ্ছে স্কুলের পাঠ্যবইতে ইন্ডিয়া থাকবে না, ভারত থাকবে। আমরা বলে দিয়েছি, এখানে ইন্ডিয়াও থাকবে অবলিক ভারতও থাকবে।”

কেন্দ্রের মোদি সরকারকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, উনি রাজধানী বদলে ছিলেন। আর এরা রাস্তা থেকে শুরু করে বইয়ের নাম- সব বদলে দিচ্ছে। এবার দেশের নাম বদলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। “আমরা ইন্ডিয়াও বলি, ভারতও বলি, আবার কেউ কেউ হিন্দুস্থান বলে।” কিন্তু এভাবে নাম বদল শুধুমাত্র রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ মমতা।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের সাংস্কৃতিক পরম্পরা রক্ষা করা আপনার কাজ।” সংবিধানে লেখা আছে ‘ইন্ডিয়া’। “আমার জিজ্ঞাসা এইভাবে দেশ চলবে? স্ট্যান্ডিং কমিটি পটাপট ডিসিশন নিচ্ছে। কাকলির বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো। আমি বললাম স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে যাও। হঠাৎ করে বলছে ‘ইন্ডিয়া’র নাম কাটাও, ভারত নাম লাগাও” তীব্র প্রতিবাদ করেন মমতা।

তৃণমূল সভানেত্রীর কথায়, “আমি সবকিছু ভুলে যেতে পারি। আমার দেশের নাম ভুলতে পারব না।”