Tuesday, August 26, 2025

আজ কী হয়েছিল জানেন?

Date:

Share post:

আজ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০)-এর প্রয়াণদিবস। ‘খুলিলে মনের দ্বার না লাগে কপাট’— পয়লা উপন্যাস যদি অমরত্ব লাভ করে, তবে পাঠকমহলে জনপ্রিয়তা অর্জনের কাজটি বেশ খানিকটা সহজ হয়ে যায় সৃষ্টিকর্তার পক্ষে। সেটা সাহিত্য হোক কিংবা চলচ্চিত্র। যেমন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাস। এভাবেই বাজিমাত করেছিল ‘পথের পাঁচালী’ এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর দুই প্রজন্ম ধরে বাঙালি পাঠক কেবলই পড়েছে তাঁকে আর তাঁর সৃষ্টিকে। তাঁর লেখা অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে ‘আরণ্যক’, ‘চাঁদের পাহাড়’,‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’, ‘ইছামতী’ ও ‘অশনি সংকেত’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি এবং দিনলিপিও রচনা করেন। ১৯৫১ সালে ‘ইছামতী’ উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।

সারদারঞ্জন রায় (১৮৫৮-১৯২৫) এদিন প্রয়াত হন। বাংলার ‘ডব্লিউ জি গ্রেস’ বলা হত তাঁকে। কিশোরগঞ্জের মশুয়া গ্রামে খেললেন ক্রিকেট। সেটাই হয়ে গেল ইতিহাস। তিনিই বাংলায় ক্রিকেট খেলার জনক। তিনি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বড় ভাই। এক হাতে বই, আরেকটায় ব্যাট— সারদারঞ্জন রায়ের পরিচিত ব্যক্তিরা এভাবেই তাঁর পরিচয় দিতেন। কবে যে কার কাছে ক্রিকেট শিখেছিলেন, তা আর কেউ বলতে পারেন না। তবে বাংলায় ক্রিকেট খেলার প্রচলন তিনিই করেছিলেন। সে-সময় ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব ছিল সবচেয়ে প্রভাবশালী। সারদারঞ্জনরা ছিলেন পাঁচ ভাই— উপেন্দ্রকিশোর, মুক্তিদারঞ্জন, কুলদারঞ্জন আর প্রমদারঞ্জন মিলে গড়েছিলেন ঢাকা কলেজ ক্রিকেট ক্লাব। পরে টাউন ক্লাবও গড়েন কলকাতায়। দু’দলেরই ক্যাপ্টেন সারদারঞ্জন। দু’দলই নিয়মিত সাহেবদের দলের বিরুদ্ধে খেলত। বাংলায় জেলাভিত্তিক ক্রিকেট দল গড়ে তাঁরা টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে থাকেন। ক্রিকেটের নিয়মকানুন নিয়ে প্রথম বাংলায় লেখা বই লেখেন এই সারদারঞ্জনই। ছাত্র হিসেবেও ছিলেন তুখোড়। বিএ পরীক্ষায় ঢাকা অঞ্চলে প্রথম। এস রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে তিনি বই আর ক্রিকেট পণ্য বিক্রি শুরু করেন। কলকাতায় ১৮৯৫ সালে শুরু করেন বাংলার প্রথম ক্রিকেটসামগ্রীর দোকান। তখন বিলিতি ব্যাট ও বল পাওয়া যেত কেবল তাঁর দোকানেই। শিয়ালকোট থেকে আনা উইলো কাঠে শিক্ষার্থীদের জন্য সস্তায় ব্যাট বানানো শুরু হয় তাঁর যশোর রোডের কারখানায়।

রমানাথ বিশ্বাস(১৮৯৪-১৯৫৫) এদিন প্রয়াত হন। সাইকেল নিয়ে বিশ্বভ্রমণ! ৯০ বছর আগে যে বাঙালির স্পর্ধায় অবাক হয়েছিল দুনিয়া তিনিই রমানাথ বিশ্বাস। ১৯৩১ সাল। সিঙ্গাপুর থেকে প্যাডেল চলা শুরু হল। দুটো চাদর, চটি, আর সাইকেল মেরামতির বাক্স সম্বল করে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশই তিনি ঘুরলেন। তবে এখানেই থেমে রইল না যাত্রা। ১৯৩৪ এবং ১৯৩৬ সালে আরও দু’বার সাইকেল বের হয় রাস্তায়। আফগানিস্তান, সিরিয়া, লেবানন হয়ে প্রায় গোটা ইউরোপ, এবং শেষমেশ আফ্রিকা আর আমেরিকা— রমানাথের কাছে হার মেনেছিল সমস্ত বাধা-বিপর্যয়।

১৮৭৩ দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩) এদিন প্রয়াত হন। শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘নীলদর্পণ’ নাটক। এটিই প্রথম কোনও বিদেশি ভাষা থেকে অনূদিত বাংলা নাটক। রচনাকাল থেকে আজ অবধি এই নাটক জাতীয় চেতনার পুরোধা হয়ে আছে। দীনবন্ধু রচিত সাহিত্যকে চেনা যেত দুই বৈশিষ্ট্যে— বাস্তবতা ও হাস্যরসে। বাস্তবতা তাঁর স্বভাবধর্ম। বলা হয়, মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ আর ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’র অনুপ্রেরণা ছিল দীনবন্ধুর প্রহসন ‘সধবার একাদশী’ ও ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’র ক্ষেত্রে। তবে সেখানেও দীনবন্ধু সমাজচিত্র এঁকে নিয়েছেন নিজের মতো করে। অতি সামান্য বস্তু আশ্রয় করে জমে উঠেছে তামাশা। বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছেন, “দীনবন্ধুর সামাজিক অভিজ্ঞতাই বিস্ময়কর নহে— তাঁহার সহানুভূতিও অতিশয় তীব্র। বিস্ময় এবং বিশেষ প্রশংসার কথা এই যে, সকল শ্রেণীর লোকের সঙ্গেই তাঁর তীব্র সহানুভূতি। গরীব দুঃখীর দুঃখের মর্ম্ম বুঝিতে এমন আর কাহাকে দেখি না। তাই দীনবন্ধু অমন একটা তোরাপ কি রাইচরণ, একটা আদুরী কি রেবতী লিখিতে পারিয়াছিলেন।”

১৯৯৭ জেমস ক্যামেরনের কালজয়ী ছবি টাইটানিক এদিন টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম জনসমক্ষে পর্দায় আসে। এই ছবির জেরেই লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আর কেট উইন্সলেট আন্তর্জাতিক তারকার খ্যাতি অর্জন করেন।

১৯৫২ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম থার্মো নিউক্লিয়ার বোমা বিস্ফোরণ ঘটাল আমেরিকা। মার্শাল আইল্যান্ডে এডওয়ার্ড টেলরের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী এই পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটান।

spot_img

Related articles

নর্তকী থেকে প্রৌঢ়া, একদিনে তিন ‘মৃত্যু’ আনন্দপুরে

একইদিনে তিন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আনন্দপুর থানা এলাকায়। তিনটি দেহের পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশের...

দুদিন ছুটি বৃষ্টির! তবুও থাকছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে ফের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। যার প্রভাব ওড়িশা ও বাংলার...

অনেক প্রেরণা তাঁরই: জন্মদিবসে মাদার টেরেসাকে স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি যত না ছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার তার থেকেও বেশি ছিলেন ভারতের, এই বাংলার। যাঁদের বেঁচে থাকার কোনও আশাই ছিল...

সবার ভালোবাসা লালবাগচা রাজাকে, মুম্বইয়ের গণেশ পুজোয় টক্কর দিতে তৈরি অন্যরাও

মুম্বইয়ের লালবাগের রাজাকে (Lalbaugcha Raja) কে না চেনে। সারাবছর আখ্খা মুম্বইকর অপেক্ষা করেন তাঁর ঝলক দর্শনের জন্য। এবছরও...