চাকরি ছাড়ানোর আ.ক্রোশ! কর্নাটকে সরকারি কর্মী খু.নে পুলিশের জালে পুরনো ড্রাইভার

ঘরে ঢুকে প্রতিমাকে দেখেই চমকে উঠেছিলেন তাঁর ভাই। দিদির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার উপর, প্রাথমিক সেই ধাক্কা সামলে ওঠার পরেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ এই ঘটনায় যাকে গ্রেফতার করেছে, সে ছিল প্রতিমার সদ্য প্রাক্তন ড্রাইভার।

0
1

উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কর্ণাটকে (Karnataka)। ঘটনার তদন্তে নেমে চোখ কপালে পুলিশ আধিকারিকদের। নিজের বাড়িতে খুন হয়েছেন কর্নাটকের খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রতিমা কেএস (KS Prathima)। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্যই হাতে এসেছে। রবিবার সকাল ৮.৩০ নাগাদ নিজের বাড়ির বিছানাতেই ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর সারা শরীর ছুরির কোপে ক্ষতবিক্ষত এবং গলাও ফালাফালা করে কাটা। দেহে প্রাণের চিহ্নমাত্র ছিল না। ইতিমধ্যে, ঘটনায় সন্দেহভাজন এক গাড়ি চালককে (Driver) সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকারি দফতরের গাড়ি চালাত ওই যুবক।

এদিকে ঘরে ঢুকে প্রতিমাকে দেখেই চমকে উঠেছিলেন তাঁর ভাই। দিদির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার উপর, প্রাথমিক সেই ধাক্কা সামলে ওঠার পরেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ এই ঘটনায় যাকে গ্রেফতার করেছে, সে ছিল প্রতিমার সদ্য প্রাক্তন ড্রাইভার। সপ্তাহখানেক আগেই তাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন মহিলা। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত প্রতিমাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। জানিয়েছে, চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার রাগেই প্রাক্তন মালকিনকে খুন করেছে সে। ৪৫ বছরের প্রতিমা কর্নাটক সরকারের একজন কর্মী। পেশায় জিওলজিস্ট প্রতিমা বেঙ্গালুরুর সুব্রহ্মনিয়াপুরা এলাকায় থাকতেন। গত ৫ বছর ধরে তাঁর গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করত কিরণ নামে এক যুবক। চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মী ছিল সে। তবে সপ্তাহখানেক আগে তাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রতিমা। তার জায়গায় নতুন ড্রাইভার রেখেছিলেন। সেই রাগই পুষে রেখেছিল কিরণ। আর তার জেরেই এমন ভয়াবহ কাণ্ড।

সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিসেই ছিলেন প্রতিমা। তারপর ৮টা নাগাদ নতুন ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে তাঁকে বেঙ্গালুরুর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। তারপর থেকে রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। এদিকে অভিজুক্ত কিরণকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। শুধু চাকরি ছাড়ানোর আক্রোশ, নাকি খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।