Wednesday, May 7, 2025

উত্তর-পূর্বে ‘নিভে যাওয়া’ কংগ্রেসের টার্গেট মিজোরাম, মঙ্গলে কঠিন পরীক্ষা

Date:

Share post:

বছর পাঁচেক আগে ‘কংগ্রেস মুক্ত উত্তর-পূর্ব ভারত’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তারপরই উত্তর-পূর্বের ক্ষমতায় থাকা শেষ রাজ্য মিজোরাম থেকেও মুছে গিয়েছিল ‘হাত’। মঙ্গলবার এই রাজ্যে ফের বিধানসভা ভোট। মণিপুরে লাগাতার হিংসার আবহে মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর দেশবাসীর। একইসঙ্গে এখানে বাড়তি নজর কংগ্রেসের। হারানো ক্ষমতা তারা দখল করতে পারবে নাকি শাহের বাণী সত্যি করে কংগ্রেস মুক্তই থাকবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল, আসতে চলেছে তারই উত্তর।

নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, প্রতি দশকে মিজোরামে সরকার পাল্টায়। সেই ধারা মেনেই ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সরকার পাল্টে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল এমএনএফ। অর্থাৎ, ভোটের ধারা মেনে এ বার কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার কথা। ৪০টি আসনের মিজোরাম বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ২১। যুযুধান প্রধান তিন দল শাসক মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ), প্রধান বিরোধী জোরাম পিপলস‌ মুভমেন্ট (জেডপিএম) এবং প্রাক্তন শাসক দল কংগ্রেস সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি লড়ছে ২৩টিতে। সব মিলিয়ে ১,২৭৬টি বুথে ১৭৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন সে রাজ্যের প্রায় ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ভোটদাতা। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন এমএনএফ প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা (আইজল পূর্ব-১), উপমুখ্যমন্ত্রী তাওনলুইয়া (তুইচাং), বিরোধী দলনেতা লালডুহোমা (সেরচিপ), প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লালসাওতা (আইজল পশ্চিম-২)।

শাসকদল এমএনএফ ২০১৬ সাল থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ (নেডা)-র এর সদস্য হলেও মণিপুরের সাম্প্রতিক গোষ্ঠী হিংসার জেরে পদ্ম-বিরোধী সুর চড়িয়েছে। এমনকি, এমএনএফ প্রধান তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা প্রকাশ্যে বলেছেন, “আগামী লোকসভা ভোটের পর নরেন্দ্র মোদি আর দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না।” এদিকে জাতিগত ভাবে মণিপুরের কুকি-জো জনজাতিরা বৃহত্তর মিজো সমাজের অন্তর্ভুক্ত। দুই জনগোষ্ঠীই খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। মে মাসের গোড়া থেকে শুরু হওয়া মণিপুর হিংসার জেরে প্রায় ১৩ হাজার কুকি-জো মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে এ বারের ভোটে মণিপুর হিংসার ইস্যু মিজোরামে অন্যতম বড় ফ্যাক্টর।

এই পরিস্থিতিতে জনমত সমীক্ষা বলছে, ৪০ আসনের বিধানসভায় এমএনএফ এবং কংগ্রেস কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ২১ ছুঁতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে আট থেকে ১২টি আসন পেয়ে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে লালডুহোমার দল জেডিপিএম। এবিপি-সি ভোটার সর্বশেষ জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, এমএনএফ ১৭-২১, কংগ্রেস ৬-১০, জে়ডপিএম ১০-১৪ এবং নির্দল, বিজেপি ও অন্যেরা মিলে ০ থেকে ২টি বিধানসভা আসনে জিততে পারে। ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতিতে একদা কংগ্রেস নেতা এবং পরবর্তী কালে বিজেপির সহযোগী লালডুহোমা কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে মিজোরামে।

 

spot_img

Related articles

ধরমশালা থেকে সরতে পারে পঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ

ভারত – পাকিস্তান(INDvPAK) অশান্তির জেরে এবার বদল হতে পারে আইপিএলের(IPL) ভেন্যুও। আগামী ১১ মে পঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই...

রাষ্ট্রসঙ্ঘের দফতরের বাইরে পাক মিসাইল! প্রত্যাঘাতে ১১ ভারতীয় হত্য়া

অপারেশন সিন্দুর সফল করার পরই পাকিস্তানের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় একাধিক বৈঠক চলছে ভারতে। অন্যদিকে পাকিস্তানও সীমান্তে আঘাতের পরিমাণ বাড়িয়ে...

২৮ সদস্যের সম্ভাব্য দল ঘোষণা ভারতের, প্রস্তুতি হবে কলকাতায়

ভারতীয় দলে(Indian Football Team) এবার মোহনবাগানের(MBSG) আরও এক ফুটবলর। এএফসি এশিয়ান কাপের(AFC Asian Cuo) যোগ্যতা অর্জন পর্বের জন্য...

বিকেলের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস!

সকালে গরমের দাবদাহ কাটিয়ে বুধের বিকেলেই বৃষ্টি ভেজার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর। আলিপুর হাওয়া অফিস (Alipore Weather Department) জানিয়েছে...