বিরোধীদের কোণঠাসা করতে মোদি সরকারের নির্দেশেই ‘অতি তৎপর’ ইডি, সিবিআই ও এনআইএ। এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে এসেছে সব বিরোধী দলগুলিই। এবার সেই অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিল সর্বোচ্চ আদালত। আদালত জানিয়ে দিল, এজেন্সি দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হতে পারে না। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ডিজিটাল গোপনীয়তা রক্ষার জন্য নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হবে বলেও পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মঙ্গলবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কৌল এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। বেঞ্চ সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে “গোপনীয়তা যে একটি মৌলিক অধিকার তা মনে রাখতে হবে।”

উল্লেখ্য ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রফেশনালস নামে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে জনস্বার্থ মামলায় আবেদন জানানো হয়, তদন্তকারী সংস্থাগুলি যাতে ‘ইচ্ছামতো’ সাংবাদিকদের ডিজিটাল সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে না পারে, তার জন্য রক্ষাকবচ দেওয়া হোক। ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রফেশনালদের আবেদনে বলেছেন, সাংবাদিকরা সীমাহীন হয়রানির শিকার হন এবং তাদের ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যক্তিগত ছবিও থাকে। কিছু ক্ষেত্রে, তাদের ডিজিটাল ডিভাইসগুলি কেড়ে নেওয়ার ফলে তাদের সন্তানদের স্কুলের ফি দেওয়ার ক্ষমতা তাদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
এরপরই বিচারপতি কৌল কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর-জেনারেলকে জিজ্ঞাসা করেন, গোপনীয়তা একটি মৌলিক অধিকার, এর মানে কী? আবেদনকারীর তরফে , সওয়াল করে বলা হয়, ‘‘এই মুহূর্তে দেশের শতাধিক সাংবাদিকের ডিজিটাল সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়ে রয়েছে। কখন কী বাজেয়াপ্ত করা যায়, বাজেয়াপ্ত ডিজিটাল সামগ্রীর কোন তথ্যভান্ডারে হাত দেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে তথ্যসুরক্ষার কী হবে, এ সব নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন।’’ বিচারপতিরাও তাঁদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিষয়টির সঙ্গে একমত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তদন্তকারীদের এক্তিয়ার এতে খর্ব হতে পারে বলে যুক্তি দেওয়া হলে আদালত বলেছে, ‘‘রাষ্ট্র শুধু তদন্তকারী সংস্থা দ্বারা চালিত হতে পারে না।’’ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের নিজস্ব সোর্স রয়েছে এবং কেন্দ্রের উচিত যে কোনও তদন্তের জন্য সাংবাদিকদের ডিজিটাল সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করার জন্য পৃথক নির্দেশিকা তৈরি করা ।

আরও পড়ুন- কৃষিক্ষেত্রে সারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবে রাজ্য, নেতৃত্বে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
