Sunday, August 24, 2025

জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা নিয়ে চরম দড়ি টানাটানি! ইডিকে বিকল্প হাসপাতাল খোঁজার নির্দেশ হাই কোর্টের

Date:

রেশন বন্টন মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) চিকিৎসা নিয়ে চরম দড়ি টানাটানি অব্যহত। আর এমন আবহে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) সাফ জানিয়ে দিল জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা (Treatment) হবে কম্যান্ড হাসপাতালেই (Alipore Command Hospital)। রেশন বন্টন মামলায় গ্রেফতারের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তারপরই চিকিৎসার জন্য আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এদিন হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) সাফ জানিয়েছে, আর দুবার আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে জ্যোতিপ্রিয়র। তবে চিকিৎসার সময় যাতে কোনওভাবেই কোনও সাধারণ নাগরিক যাতে হাসপাতালে প্রবেশ না করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশেরই। পাশাপাশি বিচারপতি এদিন আরও জানান, ইডিকেই জ্যোতিপ্রিয়র জন্য বিকল্প হাসপাতাল খুঁজতে হবে। আগামী ১৬ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

তবে গ্রেফতার হওয়ার পরই শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রাজ্যের মন্ত্রীকে। কয়েকদিন সেখানে চিকিৎসা চলার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। তারপর থেকে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। এর মাঝে জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসার জন্য তাঁকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত সেই হাসপাতালে জ্যেতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই যুক্তিতে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থও হয় তারা। যদিও সেখানে হাসপাতালের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এরপর একই দাবি নিয়ে গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কম্যান্ড হাসপাতাল। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রীর চিকিৎসা কম্যান্ড হাসপাতালের পরিবর্তে অন্য কোথাও করানো যায় কি না, বুধবার সেই বিষয়ে জানতে চায় হাই কোর্ট।

এদিন হাই কোর্টে শুনানি চলাকালীন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল ধীরাজ ত্রিবেদী জানান, কলকাতার কাছাকাছি কেন্দ্রীয় সরকারের বড় হাসপাতাল বলতে কল্যাণী এইমস। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে। তাই কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে। যদিও পালটা কম্যান্ড হাসপাতালের আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডে যুক্তি দেন, সেনা হাসপাতালের উপরে ক্রমশই চাপ বাড়ছে। তাই নির্দিষ্ট পরিকাঠামোর বাইরে সবাইকে পরিষেবা দেওয়া কার্যত সম্ভব নয়। এছাড়া নিয়ম অনুয়ায়ী, কম্যান্ড হাসপাতালে সেনা ও তাঁদের পরিজন ছাড়া সাধারণ নাগরিকেরা চিকিৎসা করাতে পারেন না। আর এরপরই বিচারপতি সিনহা সাফ জানান, যদি আপত্তি থাকে সেক্ষেত্রে ইডিকেই জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক পরীক্ষার জন্য বিকল্প হাসপাতাল খুঁজে দিতে হবে।

 

 

 

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version