Sunday, November 2, 2025

জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা নিয়ে চরম দড়ি টানাটানি! ইডিকে বিকল্প হাসপাতাল খোঁজার নির্দেশ হাই কোর্টের

Date:

রেশন বন্টন মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) চিকিৎসা নিয়ে চরম দড়ি টানাটানি অব্যহত। আর এমন আবহে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) সাফ জানিয়ে দিল জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা (Treatment) হবে কম্যান্ড হাসপাতালেই (Alipore Command Hospital)। রেশন বন্টন মামলায় গ্রেফতারের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর তারপরই চিকিৎসার জন্য আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এদিন হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) সাফ জানিয়েছে, আর দুবার আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে জ্যোতিপ্রিয়র। তবে চিকিৎসার সময় যাতে কোনওভাবেই কোনও সাধারণ নাগরিক যাতে হাসপাতালে প্রবেশ না করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশেরই। পাশাপাশি বিচারপতি এদিন আরও জানান, ইডিকেই জ্যোতিপ্রিয়র জন্য বিকল্প হাসপাতাল খুঁজতে হবে। আগামী ১৬ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

তবে গ্রেফতার হওয়ার পরই শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় রাজ্যের মন্ত্রীকে। কয়েকদিন সেখানে চিকিৎসা চলার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। তারপর থেকে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। এর মাঝে জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসার জন্য তাঁকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত সেই হাসপাতালে জ্যেতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই যুক্তিতে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থও হয় তারা। যদিও সেখানে হাসপাতালের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এরপর একই দাবি নিয়ে গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কম্যান্ড হাসপাতাল। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রীর চিকিৎসা কম্যান্ড হাসপাতালের পরিবর্তে অন্য কোথাও করানো যায় কি না, বুধবার সেই বিষয়ে জানতে চায় হাই কোর্ট।

এদিন হাই কোর্টে শুনানি চলাকালীন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল ধীরাজ ত্রিবেদী জানান, কলকাতার কাছাকাছি কেন্দ্রীয় সরকারের বড় হাসপাতাল বলতে কল্যাণী এইমস। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে। তাই কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে। যদিও পালটা কম্যান্ড হাসপাতালের আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডে যুক্তি দেন, সেনা হাসপাতালের উপরে ক্রমশই চাপ বাড়ছে। তাই নির্দিষ্ট পরিকাঠামোর বাইরে সবাইকে পরিষেবা দেওয়া কার্যত সম্ভব নয়। এছাড়া নিয়ম অনুয়ায়ী, কম্যান্ড হাসপাতালে সেনা ও তাঁদের পরিজন ছাড়া সাধারণ নাগরিকেরা চিকিৎসা করাতে পারেন না। আর এরপরই বিচারপতি সিনহা সাফ জানান, যদি আপত্তি থাকে সেক্ষেত্রে ইডিকেই জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক পরীক্ষার জন্য বিকল্প হাসপাতাল খুঁজে দিতে হবে।

 

 

 

 

Related articles

ভাই শাহরুখের জন্মদিনে মধ্যরাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা মমতার

২ নভেম্বর তারিখটা আসা মানেই শাহরুখ ভক্তদের কাছে এক উৎসবের দিন। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বলিউড বাদশার ফ্যানেরা...

মহারাষ্ট্রে জোট বাঁধল রাজ-উদ্ধব-শারদ: শুরু ভোট চুরির প্রতিবাদ

বিধানসভা নির্বাচনে কীভাবে ভোট চুরি হয়েছিল নির্বাচনের পরে প্রমাণ করে দিয়েছে কংগ্রেস। তার জেরে এবার জোট বেধে আন্দোলনে...

SIR আতঙ্কে অস্বাভাবিক মৃত্যু: পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ ফিরল গ্রামে

বিজেপির স্বৈরাচারী মনোভাবে বাংলায় এখন আতঙ্কের নাম এসআইআর। এই আতঙ্কের বলি এবার এক পরিযায়ী শ্রমিক। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের...

জয়পুরে স্কুলের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার

রাজস্থানের জয়পুরে এক বেসরকারি স্কুল বিল্ডিংয়ের পাঁচতলা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। প্রাথমিভাবে অনুমান...
Exit mobile version