এক সেকেন্ডেই ডাউনলোড হবে ১৫০ HD সিনেমা! চালু হল বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট

চার প্রতিষ্ঠানের মিলিত উদ্যোগেই বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর কথা ভাবতে সক্ষম হয়েছে চিন। হিসাব বলছে, এই ইন্টারনেটের গতি এতটাই বেশি যে, এক সেকেন্ডেই অন্তত দেড়শোটি HD সিনেমা ডাউনলোড করা সম্ভব হবে।

বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক (Internet Service) চালু করে এবার বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিল চিন (China)। জানা গিয়েছে সেই, নেটওয়ার্কে প্রতি সেকেন্ডে ১.২ টেরাবাইটস ডেটা স্থানান্তর করা সম্ভব। এতদিন পর্যন্ত সবথেকে দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে সক্ষম ছিল আমেরিকা (America)। কিন্তু এবার ইন্টারনেটে দ্রুত গতির নেট পরিষেবা দিতে সবার আগে নাম উঠে আসবে চিনের। সম্প্রতি চিনের এক সংবাদমাধ্যম এমন তথ্যই সামনে এসেছে।

চার প্রতিষ্ঠানের মিলিত উদ্যোগেই বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর কথা ভাবতে সক্ষম হয়েছে চিন। হিসাব বলছে, এই ইন্টারনেটের গতি এতটাই বেশি যে, এক সেকেন্ডেই অন্তত দেড়শোটি HD সিনেমা ডাউনলোড করা সম্ভব হবে। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে সিঙ্গুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চায়না মোবাইল, হুয়েই টেকনোলজি এবং সার্নেট কর্পোরশেন। এই ইন্টারনেট পরিষেবা বেজিং থেকে শুরু করে উহান, গাংঝৌ হয়ে দেশের ৩ হাজার কিলোমিটার এলাকায় পৌঁছতে পারবে। তবে বিশ্বের অন্যান্য ইন্টারনেট পরিষেবা যতই দ্রুত হোক না কেন, কেউই সেকেন্ডে ১০০ গিগাবাইটের বেশি ডেটা সরবরাহ করতে পারে না। আর সেখানে এই ইন্টারনেট প্রতি সেকেন্ডে ১.২ টেরাবাইটস ডেটা স্থানান্তর করবে।

 

তবে প্রতি সেকেন্ডে ১.২ টেরাবাইটস বা ১.২ টিবিপিএস স্পিডের অর্থ কী? হুয়েই টেকনোলজিসের সহ সভাপতি ওয়াং লেই জানাচ্ছেন, এর অর্থ এক সেকেন্ডে ১৫০টি হাই ডেফিনিশন সিনেমার সমান ডেটা স্থানান্তর করা। তবে এখানেই শেষ নয়। এর চেয়েও দ্রুতগতির ইন্টারনেট এখন লক্ষ্য চিনের। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক কর্তার দাবি এটা কেবলই এক সাফল্য মাত্র নয়। বরং এর ফলে চিনের কাছে সুযোগ রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এর চেয়েও দ্রুততর ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়ার।

 

 

 

 

Previous articleঅসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই, উত্তরকাশীর টানেলে আটক শ্রমিকদের নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
Next article‘আমাকে বাঁচতে দিন’, ভার্চুয়াল শুনানিতে কা.তর আর্জি জ্যোতিপ্রিয়র