শ্রমিকদের বের করতে সুড়ঙ্গে বি.পর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কখন শেষ হবে উদ্ধারকাজ?

বৃহস্পতিবার সকালে অক্সিজেন মাস্ক পরে পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে ঢুকেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি রয়েছে বলে খবর। প্রয়োজন মতো তাঁরা রাস্তা খুঁড়ে শ্রমিকদের দিকে এগিয়ে যাবেন।

0
1

আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গ (Tunnel) থেকে অবশেষে বার করে আনা হবে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে (Workers)। ইতিমধ্যে সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ভিতরে পাঠানো হয়েছে ইভাকুয়েশন পাইপ (Evacuation Team)। তার মধ্য দিয়ে পাঠানো হবে ট্রলি। আর ওই ট্রলিগুলিতে শুইয়ে শ্রমিকদের বাইরে আনা হবে বলে খবর। বৃহস্পতিবার সকালেই আটকে থাকা শ্রমিকদের বাইরে বের করে আনা হবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই স্ট্রেচার নিয়ে ভিতরে পৌঁছেছেন এনডিআরএফ (NDRF)-এর কর্মীরা। এদিকে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল বুধবার রাতের মধ্যেই উদ্ধারকাজ সফল হতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। শেষ পাওয়া খবর, আর মাত্র ১২ মিটার খোঁড়া বাকি। তারপরেই শ্রমিকদের নাগাল পাওয়া যাবে। তবে প্রয়োজনীয় সব কাজ সেরে আটক শ্রমিকদের নাগাল পাওয়া যে খুব সহজ হবে না তা মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ। কারণ, শুধু পাইপ বসানো নয়, জল-কাদা ঢুকে পড়া আটকাতে পাইপের জোড়-মুখ ঝালাইয়ের কাজ করতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সূত্রের খবর, ভেঙে সুড়ঙ্গের ইস্পাতের খণ্ডও পাইপের মুখে এসে পড়ায় বার বার খোঁড়ার কাজ ব্যাহত হচ্ছে, শ্লথ হচ্ছে কাজের গতি।

বৃহস্পতিবার সকালে অক্সিজেন মাস্ক পরে পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে ঢুকেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি রয়েছে বলে খবর। প্রয়োজন মতো তাঁরা রাস্তা খুঁড়ে শ্রমিকদের দিকে এগিয়ে যাবেন। এদিকে ইতিমধ্যে ৪১ আসনের অস্থায়ী হাসপাতালের ব্যবস্থাও করা হয়েছে সুড়ঙ্গের বাইরেই। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। শ্রমিকেরা সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এলে তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হবে এবং হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে।

এদিকে উত্তরাখণ্ড পর্যটন দফতরের এক উচ্চপদস্থ কর্তা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অনেকটাই এগোতে পেরেছি। আশা করছি, আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। ৬৭ শতাংশ খনন সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ধস নামে। ভিতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করলেও তা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। সুড়ঙ্গের যে অংশে শ্রমিকেরা আটকে আছেন, কিছুতেই সেখানে পৌঁছতে পারছিলেন না উদ্ধারকারীরা। গত ১১ দিন ধরে বদ্ধ সুড়ঙ্গেই আটকে আছেন শ্রমিকেরা।