Saturday, August 23, 2025

১৮৯৭
নীরদচন্দ্র চৌধুরী (১৮৯৭-১৯৯৯) এদিন অবিভক্ত ভারতের ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট লেখক। জীবনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শুধু পাণ্ডিত্য ও লেখনীর জোরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। বিএ পরীক্ষায় ইতিহাসে অনার্স নিয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হলেও এমএ পড়া সম্পূর্ণ করেননি। ১৯৭০-এ ম্যাক্সমুলারের জীবনী লেখার কাজে ইংল্যান্ডে যান। তার পর আর দেশে ফেরেননি। বাংলার স্বদেশি যুগের আবহাওয়ায় বড় হয়ে উঠলেও জাতীয় আবেগ থেকে নিজেকে বরাবর সরিয়ে রেখেছিলেন। আবার দীর্ঘদিন সস্ত্রীক বিলাতে থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্ব ছাড়েননি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডি লিট উপাধি দেয়। পেয়েছেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, দেশিকোত্তম। বাংলা ভাষায় রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আত্মঘাতী বাঙালি’, ‘আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ’, ‘আজি হতে শতবর্ষ আগে’ ইত্যাদি।

১৯৩০

গীতা দত্ত (১৯৩০-১৯৭২) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। একসময় তামাম ভারতের মহিলা ‘সিংগিং-সুপারস্টার’। লুকিয়ে-চুরিয়ে আজও বলা হয়, ‘লতাকণ্ঠী, আশাকণ্ঠী হওয়া যায়। কিন্তু গীতাকণ্ঠী হওয়া যায় না।’ তার কারণ, তিনি অননুকরণীয়। তাঁর স্বরযন্ত্রটা আসলে ঈশ্বরের নিজের তৈরি মোহনবাঁশি। তার সঙ্গে ভীষণ আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন। তাই তাঁর সুরে রোম্যান্স, উৎসব, যন্ত্রণা, ছলনা— সব ভীষণ তীব্রভাবে বেজে উঠত। শচীনকর্তা একদা নিজেই গেয়েছিলেন শুধু ফরিদপুরের গীতার জন্য সরিয়ে রাখা একটি পল্লিগীতি। সে গান আজও যেন গীতা দত্তের জন্যই বিলাপ করে। “বাঁশি শুনে আর কাজ নাই, সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি!…”।

২০০৬

মিন্টু দাশগুপ্ত (১৯৩১-২০০৬) এদিন মারা যান। বাংলা প্যারডি গানের রচয়িতা ও শিল্পী। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ-ষাটের দশকে হাসির গানের আসরে পর্দা সরত মিন্টু দাশগুপ্তের প্যারডিতে, ‘‘প্রভু শনিবারে কোরো মোরে রাজা, আছে ঘোড়ার খবর কিছু তাজা।’’ চলতি হিন্দি ছবির জনপ্রিয় গানে মুহূর্তে মজাদার কথা বসিয়ে তাক লাগিয়ে দিতেন। যেমন, শাম্মি কাপুর-শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ মুক্তি পেলে গেয়েছিলেন: ‘আরে ছেলের কথা শুনে হলাম হাবা/ বলে, সিনেমায় নিয়ে চল না বাবা/ পথে পথে পোস্টার দেখি টুপির ওপর মেয়ে নাচে/ নিয়ে চল, চল, চল, চল/ অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস…’ অথবা, রাজেশ খান্না-শর্মিলা ঠাকুরের ‘আরাধনা’র ‘রূপ তেরা মস্তানা’র অনুসরণে— ‘কোথায় তোমার আস্তানা/ দিয়েছিলে ভুল ঠিকানা/ কোন পাড়ার কোন মোড়ের ডাইনে-বাঁয়ে…’।

১৯০৭

বাণীকুমার (১৯০৭-১৯৭৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। আসল নাম বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য। ১৯২৮-এ একুশের যুবক বৈদ্যনাথ টাঁকশালের চাকরি ছেড়ে যোগ দেন রেডিওতে। সরকারি চাকরি ছেড়ে অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়ান, তবে তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। সাধারণ মানুষের কাছে যে ভাবে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত পঙ্কজকুমার ও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ, সেই তুলনায় একটু হয়তো আড়ালেই থেকে গিয়েছেন বাণীকুমার। অথচ মূল অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও রচনা বাণীকুমারেরই। ১৯৩২-এ তাঁরই প্রযোজনায় সম্প্রচারিত হয় শারদ-আগমনি গীতিআলেখ্য ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। তাঁর সিদ্ধান্ত মেনেই মহালয়ার ভোরেই প্রচারিত হয়ে আসছে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’।

১৯৩৭

জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭) এদিন প্রয়াত হন। বিশ্ববিশ্রুত পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী। ভারতীয় উপমহাদেশে বিজ্ঞানচর্চার জনক। বেতার যন্ত্রের প্রথম উদ্ভাবক হিসাবে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। যদিও বেতারের আবিষ্কারক হিসাবে বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন মার্কনি, কারণ জগদীশ বসু এটার আবিষ্কারকে নিজের নামে পেটেন্ট করেননি। আবিষ্কার করেছিলেন অতি ক্ষুদ্র বেতার তরঙ্গ, যার থেকে তৈরি হয়েছে আজকের মাইক্রোওয়েভ, যা পরবর্তীতে ‘সলিড স্টেট ফিজিক্স’-এর বিকাশে সাহায্য করেছিল। গাছ যে বাইরের আঘাতে বা তাকে উত্তেজিত করলে তাতে সাড়া দেয় সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেন জগদীশচন্দ্র।

১৯২২ লিন্ডসে স্ট্রিটে

এদিন গ্লোব চিত্রগৃহের উদ্বোধন হয়। প্রথম প্রদর্শিত ছবি ‘অ্যাসপিরেটিং ডবল’। এখন অবশ্য ‘গ্লোব’ প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

 

 

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version