ঘটনা ২০০৮ সালের। দিনটি ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। দিল্লির বসন্ত বিহারের নেলসন ম্যান্ডেলা রোডে তখন ছিল ২৬ বছর বয়সী সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথনের গাড়ি। তাঁকে গাড়িতেই গুলি করে খুন করা হয়। এরপর কেটে গিয়েছে ১৫ বছর।গত মাসে দিল্লির দায়রা আদালতে এই মামলায় ৪ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।

এবার দোষী সাব্যস্ত চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল দিল্লির সাকেত আদালত। চার অভিযুক্ত রবি কাপুর, অমিত শুক্ল, বলবীর মালিক, অজয় কুমারকে দুটি ভিন্ন খাতে ২৫ হাজার টাকা ও ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চম অপরাধী অজয় শেঠিকে ৭.৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এই অর্থের ৭.২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে নিহত সৌম্যার পরিবারকে। অন্যদিকে বাকি চারজন দোষীকে অতিরিক্ত ১.২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।শনিবার আদালত জানিয়েছে, যেহেতু এই অপরাধ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ নয়, তাই অপরাধীদের ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল।
আদালত আরও জানিয়েছে, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, সৌম্যার মতো তরুণী ও কঠোর পরিশ্রমী এক সাংবাদিককে তাঁর প্রাণ হারাতে হয়েছে। ভারতে যে মহিলাদের কাজে অংশগ্রহণের পরিমাণ কমছে, তার অন্যতম একটি কারণ হল মহিলারা নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন।
মেয়ের খুনিদের শাস্তি দিতে দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সৌম্য বিশ্বনাথনের বাবা মা। সৌম্যার মা বলেছেন, ‘দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে তিনি নন’, কারণ তিনি চান দোষীরা যাতে সারা জীবনভর যন্ত্রণা পায়।
দোষীদের ধরতে পুলিশকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে হাতের ট্যাটু ও এক পুলিশ কর্মীর চুরি যাওয়া ওয়্যারলেস সেট। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজও দোষীদের খুঁজে পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
