সাধারণ মানুষকে সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করা ও প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুয়ারে সরকার’ পরিষেবা শুরু করেছিলেন। বাংলার ঘরে ঘরে তার সুফল মিলেছে। ফের শুরু হচ্ছে সেই ‘দুয়ারে সরকার’ পরিষেবা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই জনপ্রিয় সরকারি কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। শিবির চলবে টানা এক মাস। তার মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর বছরের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে আবেদন জমা নেওয়ার পর্ব। তারপর ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হবে আবেদনকারীদের।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে নবান্ন থেকে রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী আলোচনা করেছেন। সেই বৈঠকে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার শুরুর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, এবারের শিবিরে রাজ্য সরকার মূলত জোর দিচ্ছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পড়ে থাকা টাকা খরচের উপর। জেলাশাসকদেরকে মুখ্যসচিবের নির্দেশ, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের যত টাকা এখনও পর্যন্ত কোষাগারে আছে, তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। রাজ্যের কোনও মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়ে জোর দিতে জেলা প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের যে সমস্ত কাজ এখনও শুরু করা যায়নি, সেগুলোর জন্য অবিলম্বে টেন্ডার ডাকতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। গ্রামীণ এলাকায় শৌচাগার নির্মাণ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করার পাশাপাশি থমকে থাকা কাজগুলিও চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে শেষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিমি।
পুজোর আগে গত সেপ্টেম্বরে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবির বসেছিল রাজ্যে। ওই শিবিরে মোট ৩৫টি আলাদা আলাদা সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল চারটি নতুন পরিষেবা। এগুলি হল ‘বার্ধক্য ভাতা’, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণ’, ‘উদ্যম পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণ’ এবং ‘হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের নাম তালিকাভুক্তিকরণ’।
আরও পড়ুন:ফের বাড়ছে তাপমাত্রা! বঙ্গে শীত কবে? কী পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের