ভাইয়ের পর ‘গ্র্যান্ডমাস্টার’ দিদিও,৬৪ খোপের বোর্ডে নতুন ইতিহাস প্রজ্ঞানন্দ-বৈশালীর

শুক্রবার স্পেনে এল লইয়েব্রেগাট ওপেনে রেটিং পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার প্রয়োজনীয় সব শর্তই পূরণ করে ফেলেন ২২ বছরের বৈশালী।

একই বাড়িতে দুজন গ্র্যান্ডমাস্টার। দাবার খেলার বিরল শিরোপা ‘গ্র্যান্ডমাস্টার’এবার তামিলনাড়ুর রমেশবাবু বাড়িতে। ভাইয়ের পর গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন দিদিও। ভারতের তৃতীয় মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন বৈশালী রমেশবাবু। তামিল দিদি-ভাই জুটি কিন্ত ৬৪ খোপের বোর্ডে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।
কয়েক মাস আগেই বিশ্বের সেরা সেরা দাবাড়ুদের হারিয়ে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টার আর প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্ব দাবার ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেনের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেকে বিশ্বসেরার আসনে নিয়ে গিয়েছিলেন ১৮ বছরের প্রজ্ঞানন্দ রমেশবাবু।এবার প্রজ্ঞানন্দের দিদিও দাবার খেলায় বড় সম্মান পেলেন। ২২ বছরের বৈশালী প্রজ্ঞানন্দ দেশের তৃতীয় মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন।

শুক্রবার স্পেনে এল লইয়েব্রেগাট ওপেনে রেটিং পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার প্রয়োজনীয় সব শর্তই পূরণ করে ফেলেন ২২ বছরের বৈশালী। কনেরু হাম্পি, হারিকা দ্রোনাভাল্লির পর দেশের তৃতীয় মহিলা হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন প্রজ্ঞানন্দের দিদি বৈশালী। বিশ্বনাথন আনন্দ, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, প্রজ্ঞানন্দ সহ ভারতে মোট ৮৩ জন গ্র্যান্ডমাস্টার দাবাড়ু আছেন। বৈশালী হলেন দেশের ৮৪তম গ্র্যান্ডমাস্টার।

স্পেনের ওই প্রতিযোগিতায় ২৫০০ ফিডে রেটিং অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন তিনি। গত কাতার ওপেনেই গ্র্যান্ডমাস্টারের তৃতীয় নর্ম পেয়েছিলেন। বাকি ছিল শুধু এলো রেটিংয়ে ২৫০০ পয়েন্ট স্পর্শ করা। বৈশালী প্রথম জিএম নর্ম পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে। ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে দাবা খেলছেন তিনি। ২২ বছরের ভারতীয় দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়েছেন তুরস্কের টামের তারিক সেলবেলকে। স্পেনের প্রতিযোগিতায় প্রথম দু’রাউন্ডেই জয় পেয়েছেন তিনি।

বৈশালী বলেছেন, খুব ভাল লাগছে। গ্র্যান্ডমাস্টার হতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। কিন্তু এখানে সবে দু’রাউন্ড খেলা হয়েছে। আপাতত এই প্রতিযোগিতায় মন দিতে চাইছি। তিনি আরও বলেছেন, যখন দাবা খেলতে শুরু করেছিলাম, তখন থেকেই লক্ষ্য ছিল গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার। লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর থেকে বেশ উত্তেজনা হচ্ছিল মনে মধ্যে। আবার কিছুটা চাপও লাগছিল। দ্বিতীয় রাউন্ডের মাঝের কিছুটা সময় ভাল খেলতে পারিনি। তাই চাপটা বেশি লাগছিল। যাই হোক শেষ পর্যন্ত জিততে পেরেছি। এখন আমার লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া।

বিশ্ব দাবায় চমকপ্রদ ফলের পর প্রজ্ঞানন্দ বলেছিলেন, দিদি বৈশালী তাঁকে এমন কিছু টিপস দিয়েছেন, যা খুব কাজে দিয়েছে। বৈশালী-প্রজ্ঞানন্দ ঘরে বসেই দু জনেই ঘণ্টার পর ঘণ্ট দাবা খেলে বলে জানিয়েছিলেন তাঁর মা।ভাইবোন এক সঙ্গেই দাবা শিখতে শুরু করেছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার রমেশ আরবির চেন্নাইয়ের অ্যাকাডেমিতে। দু’জনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রমেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘দারুণ খুশির খবর। দু’জনেই প্রতি দিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা অনুশীলন করে। দু’জনেই প্রচন্ড পরিশ্রম করতে পারে।

Previous articleআলিগড়ের পর ফিরোজাবাদ! লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের নাম বদলের ঘৃ.ণ্য রাজনীতি যোগীর
Next articleসুড়ঙ্গে ৪০০ ঘণ্টার প্রবল চা.প সামলেছেন ছেলেবেলার খেলায়! কী জানালেন কোচবিহারের মানিক