বাড়িতে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গু.লি! নদিয়ায় খু.ন ব্যবসায়ী, কারণ নিয়ে ধোঁ.য়াশা

নিহতের স্ত্রী মুনমুন ভৌমিকের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলের পর বাড়িতেই ছিলেন রাজা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ৩ থেকে ৪ জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতীদল বাড়িতে হানা দেয়। দুষ্কৃতিকারীরা প্রথমে রাজা ভৌমিকের নাম ধরে ডাকে। তারপর গ্রিল খুলতেই মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর জবরদস্তি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে।

0
1

সোজা বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে (Businessman) গুলি করে খুন। বেধড়ক মারধর করা হল স্ত্রীকেও(Wife)। নদিয়ার (Nadia) তাহেরপুরের বাদকুল্লা ভাদুড়ি এলাকার ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ব্যবসায়ীর নাম রাজা ভৌমিক (Raja Bhowmik)। বয়স ৪৯ বছর। নিহত রাজা ভৌমিক একটি বেসরকারি কোম্পানির জোনাল ম্যানেজার পদে ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ব্যবসাও করতেন। নিহতের স্ত্রী মুনমুন ভৌমিকের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলের পর বাড়িতেই ছিলেন রাজা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ৩ থেকে ৪ জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতীদল বাড়িতে হানা দেয়। দুষ্কৃতিকারীরা প্রথমে রাজা ভৌমিকের নাম ধরে ডাকে। তারপর গ্রিল খুলতেই মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর জবরদস্তি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তবে খুনের প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পারিবারিক বিবাদ নাকি ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে তাহেরপুর থানার পুলিশ।

মুনমুনের আরও অভিযোগ, এদিন ঘরে ঢুকেই প্রথমে তাঁকে মারধর করে দুষ্কৃতীদল। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে চুলের মুঠি ধরে চলে বেধড়ক মারধর। পরে তাঁর সোনার গয়না খুলে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে আলমারিতে রাখা নগদ এবং সোনাদানাও নিয়ে নেয় দলটি। সেইসময় দোতলায় নিজের ঘরেই ছিলেন রাজা ভৌমিক। একতলায় স্ত্রীকে মারধর ও তাণ্ডব চালানোর পর, তাঁকে টানতে টানতে দোতলায় নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তারপরই মারধর করা হয় স্বামী রাজা ভৌমিককে। এরপর দুষ্কৃতীরা মুনমুনকে পাশের ঘরে নিয়ে বলে অভিযোগ। সেইসময় মুনমুন দুটি গুলির আওয়াজ শুনতে পান।

এরপরই পাশের ঘরে মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে রেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে মুনমুনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন। এদিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন রাজা। স্থানীয়দের তৎপরতায় দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাদকুল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা পুলিশ মর্গে পাঠায়। তবে এখনও পর্যন্ত খুনের ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার হয়নি।