ভোগ্যপণ্যে নয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সংসারের কাজেই লাগিয়েছেন মহিলারা! বলছে নিরপেক্ষ সমীক্ষা

গরীব মহিলাদের সংসার চালানো এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

নারী ক্ষমতায়ন ও স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অন্যতম প্রতিশ্রুতিই ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) এবং রাজনৈতিক মহলের অনেকেই দাবি করেন, তৃতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার অন্যতম কারণ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এবং যেমন কথা তেমন কাজ, তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কার্যকরী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য কতটা উপকার হয়েছে বাংলার সাধারণ মহিলাদের? এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর বাংলার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির যে একটা ইতিবাচক বদল এসেছে, তা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য দিয়ে দাবি করা হয়েছে বহুবার। নবান্ন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সংস্থা প্রতীচী ইন্ডিয়া ট্রাস্টকে দিয়ে করানো দুয়ারে সরকার সংক্রান্ত সমীক্ষা করেছিল। সেই রিপোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, গবির মহিলাদের সংসার চালানো এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। খুব কম ক্ষেত্রেই ভোগ্যপণ্যে তা ব্যবহার করেছেন মহিলারা ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত সাতটি দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে ৮.১০ কোটি পরিষেবা প্রদান নিশ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে রাজ্যজুড়ে চলছে অষ্টম দুয়ারে সরকার শিবির। এই আবর্তেই প্রকাশিত হয়েছে অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ইন্ডিয়া ট্রাস্টকে দিয়ে করানো থার্ড পার্টি সমীক্ষার রিপোর্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুয়ারে সরকারের মূল অভিমুখই হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ১১টি জেলায় ক্যাম্পে আসা মানুষের মধ্যে ৮৯.৫ শতাংশই এসেছিলেন এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে। আর সেই টাকার বেশিটাই খরচ হয়েছে প্রয়োজনে, ভোগ্যপণ্যে নয়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, অনেক উপভোক্তার ছেলেমেয়েই ফার্স্ট জেনারেশন লার্নার। ফলে তাঁরা মনে করেন যে, ৫০০ বা হাজার টাকা দিয়ে একটা প্রাইভেট টিউশন নিলে তাঁদের ছেলেমেয়েদের কাজে লাগবে। সমীক্ষায় আরও একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। তা হল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং দুয়ারে সরকার শিবির বাড়ির মহিলাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেকাংশে বাড়িয়েছে। একেবারে বাড়ির দোরগোড়ায় ক্যাম্প হওয়ায় বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয় জানতে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন মহিলারা। এটাই তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।

 

 

 

Previous articleইডেন গার্ডেন্সে CAB কর্মীর ছেলের ঝু.লন্ত দে.হ উদ্ধার, কারণ নিয়ে ধোঁ.য়াশা
Next articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে