মেলেনি ‘সদুত্তর’! নিয়োগ মামলায় ফের কমিশনকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত সব লিস্ট আদালতে জমা দিতে হবে কমিশনকে। কারা বিনা সুপারিশে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, কাদের র়্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল, সবটাই আদালতকে জানাতে হবে।

নিয়োগ মামলায় ফের কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সোমবার কমিশনের পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ রব্বস সিদ্দিকীর ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আদালত সাফ জানায় এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। যদিও হাই কোর্ট ফের কমিশনকে অবস্থান স্পষ্ট করার সুযোগ দিয়েছে বলে খবর। আগামী দুদিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিয়ে কমিশনকে ফের নিজেদের অবস্থান আদালতকে জানাতে হবে। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হবে বলে খবর।

নিয়োগ মামলায় আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে তৈরি হয়েছে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে কমিশনের উদ্দেশে জানতে চাওয়া হয়, এসএসসি কী কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে? কী লুকোতে চাইছে তারা? তবে এদিন সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি কমিশন। উল্টে কমিশনের তরফে আদালতের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত সব লিস্ট আদালতে জমা দিতে হবে কমিশনকে। কারা বিনা সুপারিশে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, কাদের র়্যাঙ্ক জাম্প করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল, সবটাই আদালতকে জানাতে হবে।

তবে সোমবার এসএসসি হাই কোর্টকে জানায়, সিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে এবং হাই কোর্টের নির্দেশে নবম-দশমে ৯৫২ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করেছে তারা। ওই ৯৫২ জনের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে ‘অনিয়মের’ বিষয়টি স্বীকার করে নেয় এসএসসি। তবে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে কিসের ভিত্তিতে সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে, তার সদুত্তর দিতে পারেনি এসএসসি। এসএসসির উত্তরে অসন্তুষ্ট ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আদালত কী বলেছে, তার থেকেও বড় কথা আপনারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? বিচারপতি বসাক এসএসসি-র আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনারা অনেক কিছু লুকোনোর চেষ্টা করছেন। তবে এর উত্তরে এসএসসি আদালতকে জানায়, তারা সিবিআইয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের কাছে এই বিষয়ে আলাদা করে কোনও তথ্য নেই। হাই কোর্ট তখন জানতে চায় যে, সিবিআই পরে অনিয়ম খুঁজে না পেলে কি ওই প্রার্থীদের সুপারিশপত্র আবার ফিরিয়ে দেবে এসএসসি?

উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলা দ্রুত নিস্পত্তির জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দু’মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৯ জানুয়ারির মধ্যে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআই, ইডিকে। তবে এখনও এসএসসি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে না পারায় নতুন করে শোরগোল পড়েছে।

 

 

 

Previous articleপ্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জয়ের পিছনে বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন রাহুল
Next articleতিন ঘণ্টা অপেক্ষাতেও কনের দেখা নেই, কাটোয়ায় ফেরিঘাট থেকে থানায় গেলেন বর!