হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির জেরে তামিলনাড়ুর উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী কে পনমুদিকে ৩ বছরের জেলের সাজা শোনালো আদালত। এই মামলায় দু’দিন আগেই তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষামন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বৃহস্পতিবার অপরাধীর সাজা ঘোষণা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ৩ বছরের জেলের পাশাপাশি কে পনমুদি ও তাঁর স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। আদালতের এই নির্দেশে বিধায়ক পদ খারিজ হতে চলেছে তামিলনাড়ুর উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর।

ঘটনার সূত্রপাত ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল। তখন তামিলনাড়ুর খনিজ মন্ত্রী ছিলেন কে পনমুদি। সেই সময় খাদান লাইসেন্সে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সরকারের প্রায় ২৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অভিযোগ ওঠে, নিজের পুত্র সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেলাগাম লাইসেন্স দেন মন্ত্রী। এমনকি মাত্রাতিরিক্ত বালি উত্তোলন করা হয় মন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে। এই ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের হয় পনমুদির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় নিম্ন আদালতে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে মুক্তি পান মন্ত্রী। এরপর মামলা যায় মাদ্রাজ হাইকোর্টে। গত অগাস্ট মাসে মামলা পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। গত ১৯ ডিসেম্বর এই মামলায় পনমুদিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
মামলার সিদ্ধান্ত শোনাতে গিয়ে আদালত জানায়, পনমুদির বাড়ি থেকে আয়বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। আয়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ অধিক সম্পত্তি রয়েছে মন্ত্রীর। নিম্ন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তা সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিযুক্ত ও ভুল। ফলে সেই নির্দেশ খারিজ করছে উচ্চ আদালত। এরপর পনমুদি ও তাঁর স্ত্রী দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দুজনকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের মন্ত্রীসভার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কে পনমুদিকে ৩ বছরের জেলের সাজা দিল আদালত।
