ভ.য় ধরাচ্ছে কো.ভিডের নয়া স্ট্রেন! কেরলের পর এবার থা.বা মহারাষ্ট্রেও, মৃ.ত আরও ১

নতুন বছরের আগে ফের থাবা বসাচ্ছে কোভিডের (Covid) নয়া স্ট্রেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত আরও ১ জনের মৃত্যু খবর সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এর আগে ৬ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। কেরলে (Kerala) মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের, কর্নাটকে দুজন এবং পাঞ্জাবে আরও একজনের। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তিনিও কেরলের বাসিন্দা ছিলেন বলে খবর। এই সময়ে কোভিড আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩২৮ জন। এর মধ্যে কেরল থেকেই ২৬৫ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, কেরলের পাশাপাশি নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রও (Maharashtra)।

এবার নতুন করে মহারাষ্ট্রের একজনের শরীরে মিলল কোভিডের জেএন.১ স্ট্রেনের উপস্থিতি। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে ওই কোভিড আক্রান্তের রিপোর্ট জেএন.১-এর জন্য পজিটিভ এসেছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এই ভ্যারিয়ান্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই বড়দিনের আগে নতুন করে বাড়ছে আতঙ্ক। শুক্রবার এই প্রথম মুম্বাইতে জেএন.১ আক্রান্তের হদিশ মিলল। আক্রান্তকে ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে থানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ওদিয়া হাসপাতালে। তবে এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের হদিশ মিলেছে কেরালায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৬। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০। তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছে কেরালার স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে রাজ্যগুলিকেও কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের পরামর্শ বার্তায় বলা হয়েছে, উৎসবের মরশুমে ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগাম সর্তকর্তা হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।

তবে, কোভিডের নতুন স্ট্রেন জেএন.১-কে হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত নয় বলে সতর্ক করেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি সাফ জানিয়েছেন একে সাধারণ সর্দি-কাশি বলে হেলাফেলা করলে, বিপদ বাড়তে পারে। ডা. স্বামীনাথন আরও জানিয়েছেন, সাধারণ সর্দি-কাশির থেকে এটা অনেকটই আলাদা। কোভিডের তীব্র উপসর্গ না থাকলেও, কোভিডের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের কাছে গোটা বিশ্ব থেকে যে তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যারা কোভিড-এ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং বিশেষ করে যারা বারবার সংক্রামিত হচ্ছেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া, অবসাদ, মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি এবং পেশীর ব্যথার মতো অসুস্থতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি থাকছে। তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারছেন না।

 

 

 

Previous articleকর হস্তান্তরের অতিরিক্ত কিস্তি দিল কেন্দ্র, রাজ্যের ভান্ডারে কত জানেন?
Next articleঅনুষ্ঠান করতে যাওয়ার পথে বড়সড় দু.র্ঘটনার কবলে পৌষালী! কেমন আছেন সঙ্গীতশিল্পী?