বড়দিনের মহানগরীতে ভিড়ের টক্কর! জনসুনামিতে ভাসল তিলোত্তমা

বড়দিনে ইকো পার্কে ভিড় জমিয়ে ছিলেন ৫৭ হাজার ৬০৩ জন। আলিপুরের পশু উদ্যানে প্রায় ৮৭ হাজার ৩৭৩ মানুষের ভিড় হয়েছিল এবছর।

ক্রিসমাসের আনন্দে (Christmas celebration) নয়া রেকর্ড গড়ল কলকাতা (Kolkata)। শনিবার, রবিবার এবং কাঙ্খিত সোমবারের পার্কস্ট্রিট বুঝিয়ে দিল কেন কলকাতা ভালবাসা, উন্মাদনা আর প্যাশনের শহর। মুখ্যমন্ত্রী (CM) ক্রিসমাস কার্নিভাল উদ্বোধন করে দেওয়ার পরের দিন থেকেই পায়ে পায়ে মানুষের লক্ষ্য ছিল অ্যালেন পার্ক। জনজোয়ার থেকে জনসমুদ্র হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। মাঝে তো ভিড় এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, যে তা সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের রাস্তা। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায় যান চলাচল। প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখার পর, ফের রাত ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ রাস্তা খুলে দেওয়া হয় গাড়ি চলাচলের জন্য। তবে ২৫ ডিসেম্বর গোটা শহর জুড়েই প্রায় একই ছবি। চিড়িয়াখানা (Alipur Zoological Garden) থেকে ইকোপার্ক (Eco Park), কে কাকে টেক্কা দেবে সেই নিয়েই চলল তুলনা।ট্রেন-বাস-ট্যাক্সি-মেট্রো কিংবা প্রাইভেট গাড়ি করে স্যান্টার লাল টুপি পরা সব বয়সিদের হাতেই এক টুকরো কেক আর মোবাইলে সেলফি তোলার হিড়িক। বড়দের ভিড়ে পা মেলালো ছোটরাও, কেউ চিড়িয়াখানার হাতি-বাঘ-সিংহ দেখে উৎফুল্ল তো কারও পছন্দ নিকোপার্কের (Nicco Park ) জয় রাইড।

শীতের গন্তব্যের ডালি নিয়ে এদিন কলকাতা সব কটা দর্শনীয় স্থানেই চড়ল ভিড়ের পারদ। সাধারণত সোমবার ইকোপার্ক বা ভারতীয় জাদুঘর (Indian Museum ) বন্ধ থাকলেও এদিন ছিল ব্যতিক্রম। সায়েন্স সিটিতে (Science City) বেড়েছে গতবার ২২ হাজার ৫০০ জন মানুষ ভিড় করেছিলেন কিন্তু গতকাল প্রায় ২৫ হাজার ৪০০ মানুষের ভিড় হয়েছে সেখানে। জাদুঘর ও আলিপুর জেল মিউজিয়ামে গড়ে প্রায় ৭ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। চিড়িয়াখানা, ইকো পার্কে আগের বছরের থেকে এবছরের ভিড় একটু কম। বড়দিনে ইকো পার্কে ভিড় জমিয়ে ছিলেন ৫৭ হাজার ৬০৩ জন। আলিপুরের পশু উদ্যানে প্রায় ৮৭ হাজার ৩৭৩ মানুষের ভিড় হয়েছিল এবছর।