বৃহস্পতিবার ধর্মতলার রানি রাসমণি রোডে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত এই সমাবেশ ছিল, এনআরসি বিরোধী এবং নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে। আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন মতুয়া ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। বৃহস্পতিবারের সমাবেশ থেকে বক্তব্য রাখার সময় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একের পর এক তোপ দাগেন মমতাবালা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতাবালা বলেন, মোদীজি জেনে রাখুন এই সমাবেশ ট্রেলার। বীণাপানিদেবীর নামে শপথ নিয়ে তিনি বলেন, অন্যায় হলে মতুয়ারা ডঙ্কা নিয়ে দিল্লি যাবে। দেশ ভাগের চেষ্টা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ধিক্কারও জানান মমতা বালা। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সময়ের কাগজ বলছে, মতুয়াদের এই দেশ থেকে কেউ তাড়াতে পারবে না। কিন্তু বিজেপি সরকার এখন মতুয়াদের অনুপ্রবেশকারী তকমা দিচ্ছে। তাই মনে রাখা দরকার, যাঁরা প্রকৃত মতুয়া, তাঁরা কোনওদিন বিজেপি করতে পারে না।
মমতাবালা আরও জানান, রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিতে চাওয়া হয়েছিল। সরকার আসবে যাবে। কিন্তু আইন থাকবে। দরকারে গুলি করে মারুন, কিন্তু তিলে তিলে মারতে পারবেন না। রাজ্যপালের কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি সময় দেননি। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করতে যাওয়া হবে। মতুয়াদের অধিকার নিয়ে খেলা করার কারও অধিকার নেই। দিল্লি গিয়ে অনশন হবে।

কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকেও নিশানা করেন মমতাবালা। তাঁর কথায়, শান্তনু ঠাকুর বংশের কুলাঙ্গার। তাকে কে অধিকার দিল রাম মন্দিরের জন্য এখানকার জল, মাটি পাঠাতে? সেই জল-মাটি ফেলে দেওয়া হল। কে বলেছিল পাঠাতে? এর জবাব শান্তনু ঠাকুর পাবে। সে নাকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিকে মিথ্যা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে। বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে মতুয়ারা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মতুয়ারা ভারতের মূল বাসিন্দা, আদি বাসিন্দা। তাহলে কেন আইন করে নাগরিকত্ব দিতে হবে? এইসব মেনে নেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন- বিজেপি চাপে পড়লেই এজেন্সিতে ভরসা রাখে,ইডির তল্লাশিতে কটাক্ষ কুণালের
