ফের মণিপুরে হিংসার বলি ৪, জঙ্গি হামলায় আহত ৪ পুলিশ কর্মী সহ ১ জওয়ান

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। আহত হয়েছেন আরও চারজন, তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফের মণিপুরে হিংসার ঘটনা। নতুন বছরেই রক্তাক্ত হল মণিপুর। সোমবার বিকেলে উপত্যকায় থৌবল জেলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে মণিপুর সরকার রাজধানীতে ইম্ফল সহ উপত্যকার পাঁচ জেলায় কার্ফু জারি করেছে। থৌবল ছাড়াও তালিকায় রয়েছে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর এবং ককচিং।গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪। হিংসার জেরে ফের কারফিউ শুরু করছে মণিপুর প্রশাসন। এরপর আজ, মঙ্গলবার মণিপুরের মোরেহ শহরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় ৪ পুলিশ কমান্ডো এবং এক বিএসএফ জওয়ান আহত হয়েছেন।

পয়লা জানুয়ারি বিকেলে থৌবালের লিলং এলাকায় শুরু হয় গোষ্ঠী সংঘর্ষ। ইম্ফল থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লিলং। সেখানেই চলে গুলির লড়াই। জানা গিয়েছে, সেনার পোশাক পরে কমপক্ষে ২৫ জন জঙ্গি হাজির হয় গ্রামের একটি বাড়িতে। দাবি করে বিপুল অঙ্কের টাকা। প্রতিবাদ করলে ওই বাড়ির এক সদস্যকে গুলি করে জঙ্গিরা। তখনই গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেন। তারপর তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। আহত হয়েছেন আরও চারজন, তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনাস্থলে গ্রামবাসীদের মৃত্যুর খবর পেলেও সেখানে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ। কারণ সেই সময় গ্রামের প্রবেশপথ আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিদের ঘিরে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জঙ্গিদের চিহ্নিত করবেন পুলিশ আধিকারিকরা। তারপরে এই ঘটনা নিয়ে সরকারিভাবে বিবৃতি দেওয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

থৌবাল, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং এবং বিষ্ণুপুর জেলায় কারফিউ জারি করেছে মণিপুর প্রশাসন৷ ২০২৩ সালের মে মাস থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল এই রাজ্য৷ সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়৷ গৃহহীন হয় ৬০ হাজার মানুষ৷

Previous articleছত্তিশগড়ে পুলিশ-মাওবাদী সংঘর্ষে প্রাণ গেল 6 মাসের শিশুর
Next articleউল্টে গেল বেসরকারি বাস, রেষারেষির মর্মান্তিক পরিণতি!