সোমবার ভোরে পুণ্যস্নান শুরুর আগেই গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান সম্পন্ন ৬৫ লক্ষ পুণ্যার্থীর। কেউ এসেছে পশ্চিম প্রান্তে রাজস্থান থেকে কেউ দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটক থেকে। আর রাজ্যের ঐতিহ্য ধরে রাখতে গঙ্গাসাগরের এই লক্ষ লক্ষ অতিথিকে বরণ করছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রীরা। রবিবার সেই দ্বায়িত্ব সামলালেন আটজন মন্ত্রী, যার মধ্যে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, পুলক রায়, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, সুজিত বোস, ইন্দ্রনীল সেন। এছাড়াও ছিলেন বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, পুলিশ সুপার কোটেশ্বরা রাও।

মেলা উদ্বোধনের আগেই রাজ্যের মন্ত্রীদের গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন এলাকার দ্বায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলা শুরু সপ্তমদিনে সেই তদারকি কতটা সফল তার খানিকটা খতিয়ান পেশ করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যেখানে দেখা গেল মেলায় ৪১টি ছিনতাইয়ের (snatching) ঘটনার মধ্যে ৩৮টি ক্ষেত্রেই খোয়া যাওয়া জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জন্য গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে ২৫০ জনকে। আর এই গোটা নজরদারি চালানো হয়েছে ১১৫০টি সিসিটিভি, ২২টি ড্রোন, ১০টি স্যাটেলাইট ফোন ও ১৪০ ম্যানপ্যাকের সাহায্যে।

বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি রয়েছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও। ইতিমধ্যে ৭ পুণ্যার্থীকে অসুস্থতার জন্য এয়ারলিফট (air lift) করা হয়েছে। দুজন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হলেন রাজস্থানের বাসিন্দা মোহনলাল প্রজাপত (৫৯)ও দিল্লির বাসিন্দা চন্দ্র পাল (৫২)। পুণ্যার্থীদের খুঁটিনাটির দিকে নজর রেখেই মেলার সব সুলুক সন্ধান মুঠোয় পৌঁছে দিতে চালু করা হয়েছে কিউআরকোড। আবার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রেখে নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থাও। আবার স্বাচ্ছন্দ্য ও ধর্মীয় আচরণকে বিশ্বমানের করে তুলতে সন্ধ্যায় তিন দিন ধরে আয়োজন করা হচ্ছে সন্ধ্যারতিরও।
