স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে দুর্নীতি, অনিয়ম ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে এ বার রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা এই বিমা প্রকল্পের সুযোগ নিয়ে চিকিৎসার নামে বেশ কিছু হাসপাতাল ও নার্সিংহোম বেআইনি ভাবে সরকারি অর্থ লুট করছে বলে অভিযোগ। এই অনিয়ম বন্ধে প্রকল্পে নজরদারির জন্যে দক্ষ পেশাদার নিয়োগ করতে চলেছে সরকার। তারাই প্রকল্পের কাজ দেখভাল করবে।

জানা গিয়েছে, তাদেরমূল কাজ হবে, প্রকল্পে কী ধরনের অনিয়ম হচ্ছে, তা খুঁজে বের করা এবং তা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ করা। দুর্নীতির সন্ধান পেতে তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে যাবেন। অনিয়মের অভিযোগের তদন্তও করবেন। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুষ্ঠু রূপায়নের জন্য আলাদা প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ইউনিটও তৈরি করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই ইউনিট পরিচালনা করার জন্য বেসরকারি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা এই প্রকল্পে অনিয়ম রুখতে স্বাস্থ্য সাথী সমিতিকে সহযোগিতা করবে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন, অনেক সময়ে তাঁদের বিলের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। এর পিছনে টিপিএ সংস্থার কর্মীদের একাংশ জড়িত। সে কারণে এখন থেকে টিপিএ সংস্থা থেকে কোনও বিল পাঠানো হলে সেগুলি যাচাই করা হবে। এর জন্যে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে আলাদা ক্লেমস অফিসার নিয়োগ করা হবে।

অ্যান্টি ফ্রড অফিসার হওয়ার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্ট্যাটিসটিক্স বা ইকনমিক্স কিংবা ডেটা অ্যানালিটিক্সে মাস্টার ডিগ্রি। কর্পোরেট আইন সম্পর্কেও অভিজ্ঞ হতে হবে। কোনও ব্যাঙ্ক, নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি, বিমা কোম্পানিতে কম করে পাঁচ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকাও বাধ্যতামূলক। নিয়মিত স্বাস্থ্য সাথী সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি এবং চিকিৎসার প্যাকেজ ঠিক করতে মেডিক্যাল উইংয়ের অধীনে বেশ কয়েক জন একজিকিউটিভও নিয়োগ করা হবে।