চা সুন্দরী আবাস প্রকল্পে স্কচ পুরস্কার পেল রাজ্য আবাসন দফতর। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।এই প্রসঙ্গে আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, এই পুরস্কার প্রাপ্তির মূল কারিগর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প সেরার স্বীকৃতি পেল। ভারতবর্ষে আর কোনও রাজ্যের সরকার এভাবে চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করে দেয়নি।

বছর তিনেক আগে ২০২০ সালে রাজ্য সরকার ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পের সূচনা করেছিল। রাজ্য বাজেট পেশের সময় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছিলেন যে, এই প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্বপ্নের প্রকল্প’। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার ডুয়ার্সের সাতটি বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণের কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ঘোষণাই সার। আজ পর্যন্ত একটিও চা বাগানের দায়িত্ব গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাভাবিকভাবেই চা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি চা শ্রমিকদের আবাসন প্রকল্প চা সুন্দরীর নিয়মে বদল আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।

এর ফলে চা সুন্দরী প্রকল্পে এবার থেকে আর রাজ্য সরকার বাড়ি তৈরি করে দেবে না। তার বদলে প্রাপকদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের ধাপে ধাপে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তবে যেসব বাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে তা শেষ করেই উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।এরই পাশাপাশি, লোকসভা ভোটের আগে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
