Saturday, August 23, 2025

এএসআই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী জ্ঞানবাপী হস্তান্তরের দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

Date:

জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আর এই রিপোর্টকে সামনে রেখেই এবার মুসলিম পক্ষের কাছে জ্ঞানবাপী হস্তান্তরের দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। রীতিমতো একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, এএসআই যে সমস্ত প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে এটি আসলে হিন্দু মন্দির। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই এখানে আরাধনা করতেন।

ভিএইচপির কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমারের দাবি, ১৯৯১ সালের ‘ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন’ অনুযায়ী তাই এই স্থানকে হিন্দু মন্দির বলে ঘোষণা করা উচিত। এমনকী ইন্তেজামিয়া কমিটিকে ভিএইচপির তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘সত্যি’টা মেনে নিয়ে তারা যেন সম্মানের সঙ্গে জ্ঞানবাপী হিন্দু তথা কাশী বিশ্বনাথ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেয়। এবং অন্য স্থানে মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা করা হয়।তার আরও দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবে জ্ঞানবাপী হিন্দুদের হস্তান্তর করলে তা ভারতের সম্প্রীতির ক্ষেত্রে নজির হয়ে থাকবে। সেখানে শিবলিঙ্গ পুজোর অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।

এএসআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হনুমান,গণেশ এবং নন্দীর মতো মূর্তি জ্ঞানবাপীর অন্দরে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে।বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, জ্ঞানবাপী থেকে যে সব দেবদেবীর ভাঙা মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, তাতেই প্রমাণ হয় যে পুরনো মন্দির ভেঙে তার উপরই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।সমীক্ষা রিপোর্টে আরও উল্লেখ রয়েছে যে এখান থেকে পুরনো মুদ্রা এবং নুড়িপাথর পাওয়া গিয়েছে। যেখানে পার্সি ভাষার উল্লেখ রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ভিএইচপির দাবি, এই সব বিষয়গুলিই প্রমাণ করে যে ১৭ শতাব্দীতে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলেই মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়েছিল।

অঞ্জুমান আঞ্জামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটির তরফে আখলাখ আহমেদ দাবি করেন, এর আগে অ্যাডভোকেট কমিশনের যা পর্যবেক্ষণ ছিল, এএসআই তার চেয়ে নতুন কিছুই পায়নি। শুধু নতুন করে সমস্ত মাপঝোপের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে মাত্র। মসজিদ কমিটির সম্পাদক মহম্মদ ইয়াসিনের দাবি, এটা একটা রিপোর্ট মাত্র। কোনও চূড়ান্ত রায় নয়। নানা ধরনেরই রিপোর্টই আছে। তাই এএসআই সমীক্ষার রিপোর্টই যে চূড়ান্ত, তা নয়।

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version