মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণদিবস এবং তাঁর নামাঙ্কিত ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পকে জুড়ে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’র মুখোশ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার, মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতির জনককে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে, বিজেপি যেভাবে লাগাতার গান্ধীজির নীতি ও আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে চলেছে, তা নিয়েও হতাশা ও আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।

এই ইস্যুতে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া ভাষায় বিজেপির সমালোচনা করে তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, বিজেপি আসলে মহাত্মা গান্ধীকে প্রতীক সর্বস্বে পরিণত করেছে। কিন্তু, আমাদের এই মহান দেশকে নিয়ে গান্ধীজির যে দর্শন ও আদর্শ ছিল, তা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিন এক্স হ্যান্ডলে দু’টি পোস্ট করেছেন অভিষেক।শুরুতেই গান্ধীজির বাণী উদ্ধৃত করেছেন অভিষেক, লিখেছেন যে ‘নিজেকে খুঁজে পাওয়ার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হল অন্যের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা’। এরপরে লিখেছেন, ‘গান্ধীজির প্রভাব আমার এবং ভারতের যে কোনও বিবেকবান নাগরিকের উপর রয়েছে। তাঁর শিক্ষা আমায় যে কোনও বাঁকে অনুপ্রাণিত করে।গান্ধীজির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি সেই বঞ্চিতদের লড়াইয়ে অবিচল থাকার অঙ্গীকার করছি।’

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের পোশাকি নাম ‘মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম’। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, দুঃখজনক হল, গান্ধীজির নামাঙ্কিত প্রকল্পেই আজ আমাদের শ্রমিকেরা শোষিত হচ্ছেন, বঞ্চিত হচ্ছেন!গত দু’বছর ধরেই তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার বলে আসছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। বাংলার শাসকদলের আরও অভিযোগ, কাজ করানোর পরেও মজুরি আটকে রেখেছে দিল্লি।আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল।
