Tuesday, November 11, 2025

বিজেপির নারী বিদ্বেষের প্রতিবাদে রাজপথে মহিলা তৃণমূলের ‘চলো পাল্টাই’

Date:

কোনওভাবেই নারীর অপমান সহ্য নয়। তাই এই অবস্থার পরিবর্তন করতে আওয়াজ উঠেছে ‘‌চলো পাল্টাই’‌। বিজেপির বিরুদ্ধে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে এবার শহরের রাজপথে নামল মহিলা তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে রাজ্যেজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতায় প্রতিবাদ কর্মসূচি-সহ ৩৪টি ‘চলো পাল্টাই’ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে মহিলাদের অসম্মান, রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের যে বঞ্চনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ সহ নানা ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমবাংলার তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিল শেষে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মাল্যদান ও মশাল জ্বালান নেতৃত্ব।

এদিনের মিছিলে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নেতৃত্ব দেন। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী সহ্য আরও অনেকে। এদিনের মিছিল থেকে বিজেপির নারী বিদ্বেষের প্রতিবাদে তিনটি গানের অ্যালবামও প্রকাশ করা হয়।

তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বিজেপি আই টি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর অশালীন মন্তব্য করেছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে, বিজেপি আইটি সেল ধর্ষকদের নিয়োগ করছে, তার বিরোধিতা করতেই এই কর্মসূচি। নারীর অপমান বাংলা সহ্য করবে না।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিলকিস বানোর ইস্যুটিও তুলে ধরা হয় এদিন। চন্দ্রিমা বলেন, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি। আদালতের নির্দেশেই ফের জেলে ঢুকেছে ধর্ষকরা। আসলে এরা মেয়েদের প্রতিবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে। সেকথাটাই আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরব।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের ‘ঠুমকা’ মন্তব্যও নারী জাতিকে অপমান করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। নেতৃত্বর দাবি, অশালীন মন্তব্যের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিই প্রমাণ করে বিজেপি আসলে পুরুষতন্ত্র কায়েমের পক্ষপাতী এবং এটাই এদের স্বরূপ।রাজ্য সরকারের যে সকল জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে, তা আবারও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য।

লোকসভা ভোটের মুখে তড়িঘড়ি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের নেপথ্যেও বিজেপির রাজনীতি দেখছে তৃণমূল। চন্দ্রিমা বলেন, লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করে আসলে ওরা মহিলাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চাই, কবে সেই আইন প্রয়োগ করা হবে? ২০২৪ সালে, ২০২৯ সালে নাকি ২০৩৪ সালে? তারা হয়তো এর উত্তরও দিতে পারবে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত জনগণনাই করা হয়নি। তাই নারী-পুরুষের অনুপাতও নির্ধারণ করা হয়নি। মহিলাদের জন্য কত বা কী কী আসন সংরক্ষণ করা হবে, তাও এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, মহিলারাই সমাজ সৃষ্টি করেন। তাঁদের বোকা বানানো এত সোজা নয়। তাই আমরা ওদের বলব, নারীদের এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করা এ বার বন্ধ হোক। ২০২১ সালে ওরা বাংলা দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু, তার বদলে ওদেরই বাক্সবন্দি করে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তো দিল্লিতেও ওরা ঠিক মতো স্থান পাচ্ছে না।

Related articles

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব, রাজ্যে ১৪ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ : মুখ্যমন্ত্রী 

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় গত ১৪ বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যভবন থেকে এক...

দিল্লি বিস্ফোরণ থেকে সতর্ক লালবাজার, ইডেনে বর্জ্র-আটুঁনি

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের(IND vs SA Test) আগে ইডেন পরিদর্শনে নগরপাল মনোজ বর্মা(Manoj Varma)। দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর সতর্ক...

Kiff: মঙ্গল-সন্ধ্যায় সিনে আড্ডায় হঠাৎ হাজির মুখ্যমন্ত্রী, শোনালেন ‘দুষ্টুমির গল্প’

সিনে প্রেমীদের এখন তীর্থক্ষেত্র নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর। সেখানে চলছে ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Kiff)। মঙ্গলবার, সন্ধেয় আচমকাই নন্দন...

ইডেনে পুরানো বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিলের, হাসি-মজায় মাতলেন দুই পঞ্জাব পুত্র

ইডেনের ক্লাব হাউসে হঠাত দেখা দুই পঞ্জাব পুত্রের। ক্রিকেটের নন্দন কাননে দুই বন্ধুর রিইউনিয়ন। বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার...
Exit mobile version