Thursday, August 28, 2025

কবে মিলবে টাকা? সংসদের অধিবেশনে বাংলার বকেয়া নিয়ে সরাসরি মোদিকে প্রশ্ন সুদীপের

Date:

১০০ দিনের কাজ-সহ বাংলার প্রাপ্য বকেয়া টাকা নিয়ে সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্ব। বুধবার বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) প্রথম দিনই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বাংলার বকেয়া (Pending Fund) নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তিনি মোদিকে প্রশ্ন করেন, বাংলার বকেয়া টাকা কবে দেবে কেন্দ্র? বুধবার বাজেট অধিবেশন শুরু হলেও বৃহস্পতিবার পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। 

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানান, বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সুদীপ আরও জানান, এদিন সংসদে রাষ্ট্রপতির সম্ভাষণের সময় তাঁর আসন প্রধানমন্ত্রীর কাছেই পড়েছিল। সেই সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রশ্ন করেন, “একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের টাকা বকেয়া রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এসে আপনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপরও মেলেনি বকেয়া অর্থ। এরপরই  সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি প্রশ্ন করেন কবে এই বরাদ্দ টাকা দেবে কেন্দ্র? পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রকে দুষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধ্য করা হচ্ছে ধর্না-সত্যাগ্রহে বসতে। লোকসভাতে এই নিয়ে আমাদের অবস্থান কী হবে, তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তবে বাংলার বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি প্রশ্ন করলে উত্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্যাগ রিপোর্ট পড়ে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ক্যাগ রিপোর্ট সামনে এনে সাংবাদিক বৈঠকও করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা বলেন, শুধুমাত্র  ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভরসা করে একটি রাজ্যের বিরুদ্ধে কোনোরকম অভিযোগ তোলা যায় না। এই রিপোর্ট প্রথমে পাঠাতে হবে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে। তাদের পর্যবেক্ষণের পরই চূড়ান্ত হবে রিপোর্ট। এইভাবে তা প্রকাশ করা যায় না।

এদিকে বৃহস্পতিবারের বাজেট নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কী প্রত্যাশা রয়েছে, সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এই সরকারের একমাত্র দিশা বাংলাকে বঞ্চনা। এই সরকারের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে আমাদের কোনওরকম প্রত্যাশা নেই। তৃণমূল সাংসদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্রের বকেয়া বরাদ্দ নিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এক কথা বলছেন, তারপর বেরিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনও তাঁর দফতরের পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তারপর তাঁরা জানাচ্ছেন, আমাদের অপেক্ষায় নাকি বসেছিলেন। যা করতে হবে, রাস্তায় নেমে লড়াই করেই ছিনিয়ে নিতে হবে।” কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সত্যাগ্রহ অনশনে বসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version