বঙ্গভবন ‘না পসন্দ’! দিল্লিতে গিয়ে শেষমেশ কোথায় উঠলেন রাজ্যপাল? সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন

0
2

নিজেকে মনে প্রাণে বাঙালি বলে দাবি করলেও কাজে সেটা করে দেখাতে ব্যর্থ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)। অথচ বাংলার সরকারি অতিথিশালা তাঁর একেবারেই না পসন্দ। আর সেকারণেই দিল্লি (Delhi) সফরে গিয়ে বঙ্গভবন ছেড়ে তিনি উঠলেন এক বেসরকারি হোটেলে (Hotel)। পরে তল্পিতল্পা বেঁধে তিনি সোজা চলে যান নৌসেনার গেস্ট হাউজে। পূর্ব নির্ধারিত সূচির একদিন আগে বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে পৌঁছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, দিল্লি সফরে যাওয়ার আগে তাঁর সচিবালয়ের তরফে বঙ্গভবনে রাজ্যপালের জন্য রুম বুক করা হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, রাজ্যপাল বঙ্গভবনে (Bagabhawan) গেলেও সেখানে থাকতে রাজি হননি। রাজ্যপালের ঘর পছন্দ না হওয়ার কারণেই বঙ্গভবন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে তিনি একটি হোটেলে উঠেছেন তিনি। আর রাজ্যপালের এমন পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সব মহল থেকে উঠছে প্রশ্ন। যেখানে তিনিই নিজেকে আদ্যপান্ত বাঙালি বলে মনে করেন, বাংলার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বারবার বাংলার ‘রোল মডেল’ হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইলেও নিজের বাঙালি ইমেজই এবার ধুলোয় মেশালেন রাজ্যপাল।

নয়াদিল্লিতে কনটপ্লেসের কাছে হেইলি রো়ডে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিশালা। নাম বঙ্গভবন। এই অতিথিশালার অবস্থানগত সুবিধা অনেক। সংসদ ভবন থেকে দিল্লির অফিস কাছারি, নয়াদিল্লি রেল স্টেশন, কনটপ্লেস—সবই খুব কাছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বরাবর দিল্লিতে গেলে বঙ্গভবনেই উঠতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বহুবার বঙ্গভবনে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সেখানে সম্ভবত কখনও রাত কাটাননি। কারণ, নয়াদিল্লির সাউথ অ্যাভেনিউতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি বাংলোতে গিয়ে থাকেন তিনি। নয়াদিল্লিতে বঙ্গভবন খুব বিলাসবহুল না হলেও আধুনিক স্বাচ্ছন্দ্য সবই রয়েছে। তবে রাজ্যপালের কেন তা পছন্দ হয়নি, তার উত্তর এখনও মেলেনি পাওয়া যায়নি।