সোমে আস্থাভোট ঝাড়খণ্ডে, ‘অগ্নিপরীক্ষা’র আগে কড়া পুলিশ প্রহরায় বিধায়করা

হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারিতে তীব্র রাজনৈতিক অচলাবস্থা ঝাড়খণ্ডে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার এখানে হতে চলেছে আস্থাভোট। হেমন্তের উত্তরসূরী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন। তবে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি মিলছে না কিছুতেই। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কড়া পুলিশি প্রহরায় রাখা হচ্ছে জেএমএম বিধায়কদের।

সূত্রের খবর, হায়দরাবাদের একটি অভিজাত রিসর্টে রাখা হয়েছে জেএমএম ও কংগ্রেস জোটের বিধায়কদের। বাইরের কারও সেই রিসর্টে প্রবেশের ব্যাপারে বিধি-নিষেধ আরোপিত রয়েছে। অর্থাৎ বিশেষ অনুমতি ছাড়া কেউ বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। রিসর্টের যে তলে বিধায়কেরা রয়েছেন, সেই তলে অন্য কারও থাকার অনুমতিও নেই। এমনকি বিধায়কদের জন্য রিসর্টের আলাদা একটি সিঁড়ি বরাদ্দ রয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা কেবল ওই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারবেন। তাও পুলিশি নিরাপত্তায়। অন্য কোনও সিঁড়ি বা লিফট ব্যবহার করতে পারবেন না। সবমিলিয়ে, সরকার ধরে রাখতে জোর তৎপরতা দেখা যাচ্ছে জেএমএম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর থেকে দফায় দফায় চলতে থাকে সাসপেন্স। চম্পাই সোরেনকে নেতা হিসাবে বেছে নেয় জেএমএম। বুধবার রাতেই চম্পাই রাজভবনে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে আসেন। বিধায়কদের সমর্থনের চিঠিও জমা দেন। কিন্তু রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণের গড়িমসিতে বৃহস্পতিবার তাঁর শপথ নেওয়া হয়নি। এর পর শুক্রবার সওয়া ১২টার সময় রাজ্যপাল চম্পাইকে শপথবাক্য পাঠ করান।

Previous articleপ্রকাশিত দুই নায়িকাকে নিয়ে রঞ্জনের বই, উৎসর্গ কুণালকে
Next articleবারাণসী IIT-তে ছাত্রের দেহ উদ্ধার, দেড়মাসে চার অস্বাভাবিক মৃত্যু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে