গা জোয়ারি করে ডিএ-র (DA) দাবিতে গায়ের জোরে শহিদ মিনারে (Sahid Minar) আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এক বছরেরও বেশি অতিক্রান্ত। রবিবার তাঁদের আন্দোলনের ৩৭৪ দিন। এসবের মধ্যে তাঁদের অনশন মঞ্চ ও ধরনা মঞ্চ খুলে দেওয়া হয়। শনিবারই সেনার (Army) তরফে এই অস্থায়ী ছাউনি খুলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই এদিন সকাল থেকে ডেকরেটার্সের সংস্থার লোকজন এসে মঞ্চ খোলার কাজ শুরু করেন। তবে ময়দানে কোনও সভা বা অনুষ্ঠান করতে হলে সেনার অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। আর সেসব না মেনেই নিজেদের গায়ের জোরে দিনের পর দিন শহর কলকাতাকে স্তব্ধ করার চেষ্টায় ব্যস্ত। আর তারমধ্যেই এবার অনুমতি না থাকায় খুলে দেওয়া হল অনশন ও ধরনা মঞ্চ।

এদিকে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, সকলেই জানেন ময়দানে কোনও কর্মসূচি করতে হলে সেনার অনুমতির প্রয়োজন হয়। এখানে অন্য কারও হস্তক্ষেপ থাকে না। তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী বারবার তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে কারও কথা না শুনেই কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। যদিও পরে কর্মীদের বিষয়টি মাথায় রেখেই বড়দিনের আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য। তারপরও কিছু পায়ের তলার মাটি হারিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় গায়ের জোরে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন চলছিল। এবার সেই মঞ্চই খুলে দিল সেনা। তবে এই মামলার জল বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবারই সেনার তরফে এক প্রতিনিধি দল যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের ধরনা-অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের সেখানে বসার কোনও এক্তিয়ার নেই। পাশাপাশি জায়গাটি অবিলম্বে পরিষ্কারেরও প্রয়োজন রয়েছে। এরপরও সেনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলতে থাকে অবস্থান। যদিও রবিবার সকালে সেই মঞ্চ খুলে দেওয়া হল।
