২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের মতো আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও একা লড়ে ৪২ টা আসনই দখল করবে তৃণমূল। রবিবার তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে লোকসভা নির্বাচনের টার্গেট বেঁধে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে জানালেন, এবার দিল্লিতে যে বিকল্প সরকার গঠিত হবে তা তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে চালিত হবে। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসাকারীদের উদ্দেশ্যেও দিলেন কড়া বার্তা।

এদিল দলীয় মঞ্চ থেকে কর্মী সমর্থকদের বার্তা দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “৪২ আসনে মধ্যে ৪২টা জয়ের টার্গেট করে আমরা এগোব। মাথা নিচু করে মানুষের কাছে যাব। যারা ভুল বুঝছেন তাঁদের কাছে গিয়ে বোঝান। কেন তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেবেন। প্রতি বুথে ১০০ টা লোকের ১০০ টা ভোট চাই। ১০০ টা লোক যদি সরকারের জনমুখি প্রকল্পের সুবিধা পান তাহলে ভোট দেবেন না কেন? মানুষকে বোঝাতে হবে ১ টা ভোট সিপিএম ও কংগ্রেসকে দেওয়া মানে বিজেপিকে ২ টো ভোট দেওয়া।” একইসঙ্গে বলেন, “২০২১ সালে তৃণমূল একা লড়ে বিজেপিকে হারিয়েছে। ওরা জোট বেঁধে শূন্য হয়েছে। ২১-এ কেউ ছিল না, ২৪ এ কাউকে দরকার নেই। আমরা লড়ব এবং জিতব। ২৪-এ কেন্দ্রে যে সরকার হবে তাঁকে তৃণমূল উঠতে বললে উঠবে। বসতে বললে বসবে।”

পাশাপাশি বিরোধীদের নিশানায় নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি নামের দলটার জন্মই হয়েছে কংগ্রেসের ব্যর্থতায়। ২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালে এরা ফের ক্ষমতায় এসেছে শুধুমাত্র কংগ্রেসের ব্যর্থতার জেরে। তৃণমূলের কাছে শত্রুর চেহারাটা বদলে যাচ্ছে। একটা সময়ে লড়াইটা ছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। আর এখন জনগণের শত্রু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই।” সিপিএমকে তোপ দেগে বলেন, “সিপিএম জমানায় কোনও এফআইআর হত না। বানতলা ধর্ষণকাণ্ড, সাঁইবাড়ি, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অপরাধে হাত কেটে দিয়েছিল ওরা। তৃণমূল যে রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজায়। এবার দলের নেতা নেত্রীদের বলতে হবে। একটা অনুমতি দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কোনও রবীন্দ্র সঙ্গীত নয় ডিজে বাজাব সারা বাংলায়। আমাদের নেতা নেত্রীদের নাম ধরে কুৎসা করবে আর আমরা রসগোল্লা খাওয়াব? ওরা ভোটে লড়তে পারে না সিবিআই-ইডি দিয়ে লড়ছে। বীরভুমের মতো ওই নকুলদানা ও চড়াম চড়াম ঢাক প্রয়োজন। কেন্দ্রে বিকল্প সরকার হলে ১ মাসের মধ্যে তৃণমূলের সুবিধাভোগী গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়ে নেত্রীর কুৎসাকারী চোর শুভেন্দুকে ওই সিবিআই-ইডি দিয়ে জেলে ঢোকাব।”
