কেন্দ্রের মোদি সরকারের কৃষক বিরোধী নীতির জেরে পথে বসেছেন দেশের কৃষকরা। ৩ বছর আগে সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল কৃষকদের বিক্ষোভ। আবারও দেখা গেল একই ছবি। তবে আন্দোলনরত কৃষকদের ঠেকাতে এবার আগেভাগে মাঠে নামল কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যারিকেড করে দেওয়া হল দিল্লি সীমান্ত। একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে বড়সড় দিল্লি অভিযানে নেমেছেন হরিয়ানা, পাঞ্জাব, নয়ডার কৃষকরা। তাঁদের আটকাতে এবার তোরজোড় শুরু করল মোদির সরকার।

বৃহস্পতিবার একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লির পথে রওনা দেয় কৃষকদের দুটি মিছিল। একটিতে রয়েছেন নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার কৃষকরা। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের তরফে যেসমস্ত কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তার পরিবর্তে উন্নত চাষজমির ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়াতে হবে ক্ষতিপূরণের অঙ্কও। মিছিল করে সংসদ ভবন পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। অন্য মিছিলটিতে অংশ নেবেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য, কৃষকদের পেনশন, চাষিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ খারিজ-সহ একাধিক দাবিতে ট্রাক্টর মিছিল করে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। এই মিছিল আটকাতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ বাহিনী।

জানা গিয়েছে, দিল্লি-নয়ডা সীমানায় কাঁটাতার, সিমেন্টের তৈরি ব্যারিকেড, বালির বস্তা দিয়ে পথ আটকে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ পুলিশবাহিনী, র্যাফ মোতায়েন রয়েছে সীমান্তে। ২০২০ সালের মতোই কৃষকদের আটকানোর সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। তার জেরে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। সীমানা পেরিয়ে যাতায়াত করতে অন্তত ৩০ মিনিট বেশি সময় লাগছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এদিকে প্রশাসনের বাধার মুখে পড়ে রাজ্যের সীমান্ত পেরিয়ে দিল্লি প্রবেশ করতে পারেননি কৃষকরা। তবে ফিরেও যাননি। ব্যারিকেডের সামনে বসেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সবমিলিয়ে ২০২০ সালের পুরানো সেই ছবি নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে মোদি সরকারের।
