বিজেপির কুকর্ম ফাঁসের আশঙ্কা! ‘বাংলা পক্ষ’র গর্গকে নিয়ে তথ্যচিত্র আটকালো CBFC

শিল্পীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা বিজেপি সরকারের চিরকালের অভ্যাস। ফের তার প্রমাণ মিলল। নিজেদের কুকর্ম ফাঁস হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় এবার বাংলা পক্ষের (Bangla Pokkho)সাধারণ সম্পাদক ড: গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে (Garga Chatterjee)নিয়ে পরিচালক সৌম্য সেনগুপ্তর (Soumya Sengupta’s Documentary) তথ্যচিত্র ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’র রিলিজ আটকে দিল বিজেপির (BJP)মতাদর্শে চলা ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন’ (CBFC)। পরিচালক সৌম্য জানিয়েছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কলকাতার কিছু প্রেক্ষাগৃহে ছবি রিলিজের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু CBFC-এর অনৈতিক সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

সৌম্য জানান, পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গর্গ চট্টোপাধ্যায় ও বাংলা পক্ষের দীর্ঘ আন্দোলনই হল এই তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির বাংলা ও বাঙালি বিরোধী মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। সেকারনেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতাদর্শে চলা CBFC তথ্যচিত্রটিকে সেন্সর সার্টিফিকেট না দিয়ে ‘রিভাইজিং কমিটি’তে পাঠিয়েছে। বিজেপির ঠিক কোন কোন নীতির সমালোচনা করা হয়েছে তথ্যচিত্রে? পরিচালক বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপির নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা পুনরায় বাংলা ভাগের পক্ষে প্রশ্ন করছেন। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যে ভাগ করার কথা যিনি প্রকাশ্যে বলেছেন সেই অনন্ত মহারাজকেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত করেছে। এন.আর.সির নামে আসামের প্রায় ১৭ লক্ষ বাঙালিকে ভিটে মাটি ছাড়া করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির ভিন রাজ্যের নেতারা অনায়াসে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী মানুষদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন। বাংলা থেকে করের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য ফেরত দিচ্ছেন না। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত সময়কালে তামিলনাডুতে আন্নাদুরাই ও করুণানিধির হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসও এই তথ্যচিত্রে প্রধান্য পেয়েছে। এই বিষয়ে গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপি বর্তমানে ভারতের সমস্ত অ-হিন্দি জাতিকে ভাষাগত ভাবে পরাধীন করে রাখার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রের যা কিছু তা হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তাই বিজেপির কুকর্ম ফাঁস হবার ভয়ে CBFC এই তথ্যচিত্রকে ছাড়পত্র দিতে চাইছে না। পরিচালক সৌম্য সেনগুপ্ত বলেন প্রথমে ডকুমেন্টারি তৈরীর জন্য লড়াই করেছি। এখন লড়াই চলছে ডকুমেন্টারি রিলিজ করার জন্য। কিন্তু দেরী হলেও এই লড়াইতে জয় আমাদেরই হবে।


Previous articleবহিরাগতদের উস্কানিতেই সন্দেশখালি অশান্ত করার চেষ্টা, দাবি তৃণমূলের
Next articleসন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর, কটাক্ষ তৃণমূলের