দিল্লি আদালতে জামিন রাবড়ি দেবী ও দুই কন্যার, প্রশ্নের মুখে ইডি

রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই কন্যাকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সহজেই অন্তর্বর্তী জামিন পান তাঁরা। আদালতে জামিনের বিরোধিতা করার মতো কিছুই ছিল না বলেও জানায় ইডি।

রেলের জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই কন্যার জামিন মঞ্জুর করল দিল্লি আদালত। শুক্রবার দিল্লির রাউস এভিনিউ-এর বিশেষ পিএমএলএ আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দুই কন্যা মিশা ভারতী, হেমা যাদব ও অমিত কাটিয়াল, হৃদয়ানন্দ চৌধুরীকে। তদন্তের সময় যাদের গ্রেফতার করা হয়নি, চার্জশিট পেশের পর তাঁদের জামিনে বাধা কোথায়, ইডি-র প্রতি প্রশ্ন তুলে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর লোকসভা ভোটের আগে চাপ বাড়াতে বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই ব্যবহার করছে বিজেপি। দেশের বিরোধী সব দলই এই অভিযোগে সরব হয়েছে। সম্প্রতি বিহারে নীতীশ কুমারকে এনডিএ জোটে সামিল করে নেওয়ার পরই লালু প্রসাদের আরজেডি নেতাদের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। ডেকে পাঠানো হয় প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় ইডি দফতরে। যদিও সদর্পে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়ে বেরিয়ে আসেন তেজস্বী। অন্যদিকে রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই মেয়ের নামে চাকরির পরিবর্তে জমি মামলায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করে ইডি।

গত ৩০ জানুয়ারি দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত সেই মামলার প্রেক্ষিতেই রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই কন্যাকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সহজেই অন্তর্বর্তী জামিন পান তাঁরা। আদালতে জামিনের বিরোধিতা করার মতো কিছুই ছিল না বলেও জানায় ইডি। সেই উত্তরে বিচারক বিশাল গোগনে প্রশ্ন করেন তদন্ত চলাকালীন যাদের গ্রেফতার করা হয়নি, তাদের হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন কী? ইডি-র নীরবতায় জামিন সহজ হয় তাঁদের। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের জামিন মঞ্জুর হয়।