ঘরভাঙাটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে: গেরুয়া রাজ্যে বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে আদালত

সরকারের বিরাগভাজন হলেই ‘বুলডোজারের হামলা’, এটাই এখন চিরচেনা ছবি গেরুয়া রাজ্যগুলিতে। এমনই এক মামলার শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়ল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার। কড়া সুরে বিচারপতি জানালেন, “ন্যায়, নীতির তোয়াক্কা না করে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা এবং সংবাদমাধ্যমে তা প্রচার করাটা এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।” এই সংক্রান্ত মামলায় সরকারের সমালচনার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দুজনকে à§§ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর। রাহুল লাঙ্গরি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি একজনকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। যার পর আত্মহত্যা করেন সেই ব্যক্তি। ঘটনায় গ্রেফতার হন রাহুল, দায়ের হয় ফৌজদারি মামলা। এরপর পুলিশের তরফে স্থানীয় পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় রাহুলের দুতলা বাড়ি। এই ঘটনায় রাহুলের স্ত্রী রাধা আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি অভযোগ করেন, তাঁর বাড়ির পূর্ব মালিকের নামে হঠাৎ একদিন নোটিশ আসে। তারপরদিনই কোনও কথা না শুনে ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ি। মামলাকারী জানান, তাঁর বাড়ি কোনওভাবেই বৈধ নয়। এটি পুরসভার হাউজিং বোর্ডে নথিভুক্ত এবং বাড়ি তৈরিতে ব্যঙ্ক থেকে ঋণও নেওয়া হয়েছে। পুরো মামলা শোনার পর আদালত রাধা ও তাঁর শ্বাশুড়ি বিমলাকে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

আদালত স্পষ্ট জানায়, “নিয়মের তোয়াক্কা না করে মিডিয়ায় প্রচার চালাতেই ওই বাড়ি ভাঙা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। যেহেতু ওই পরিবারের একজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাই সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে একদিনের নোটিশে এই অনৈতিক পদক্ষেপ। এই ঘটনা কোনওভাবে বরদাস্ত করা যায় না বলে জানায় আদালত।” পাশাপাশি এই ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্তের স্ত্রী জানায়, আমার স্বামী সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ। তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এবং প্রভাবশালীদের বিরাগভাজন হওয়ার জন্যই আমাদের বড়ি ভাঙা পড়েছে।